তিমির বনিক, মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি: পবিত্র মাহে রামাজান’কে কেন্দ্র করে নিত্যপণ্যের দাম দ্বিগুন বাড়িয়ে দিয়েছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা। শাক, সবজি থেকে শুরু করে লেবুসহ কলার বাজারেও যেন রীতিমত আগুন।
অনুসন্ধানে দেখা গিয়েছে মৌলভীবাজার শহরের পশ্চিম বাজারে কাচা বাজারের কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা পাইকারী বাজার দামের দোহাই দিয়ে ক্রেতার কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে দ্বিগুন টাকা। ফলে সাধারণ জনগন প্রতিনিয়ত প্রতারনার স্বীকার হচ্ছেন। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের কাছে”
কয়েক ক্রেতার কাছে জানতে চাইলে তারা প্রতিবেদক’কে জানান, বাজারে লেবু কিনতে গিয়েছিলাম দাম শুনে মাথায় হাত প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা দরে। বেগুন ৮০ টাকা, শষা ৮০ টাকা এছাড়াও কাচা বাজারে অন্যান্য নিত্যপণ্যেও রয়েছে লাগামহীন মূল্য। এমন অবস্থা যদি বাজারের হয় তাহলে আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষ কিভাবে চলবে? রোজি নেই কিন্তু বাজারের এমন অবস্থায় হতাশ ক্রেতারা।
কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর, ভানুগাছ ও স্থানীয় বিভিন্ন বাজারে হঠাৎ করে কলার দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। সরকারিভাবে কলার দাম নির্ধারণ না থাকায় দোকানিরা নিজেদের মত করে দাম নিচ্ছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন সাধারণ মানুষ।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারের বিভিন্ন স্থানে স্থানে ব্যবসায়ীরা কলা সাজিয়ে রেখেছেন। এর মধ্যে চম্পা কলা ও সাগর কলার সংখ্যাই বেশি। পাকা কলার পাশাপাশি গাছ থেকে কেটে আনা কাচা কলার ছড়িও রাখা হয়েছে। তবে সেগুলো গর্তে রেখে কিংবা কেমিক্যালের মাধ্যমে পাকানোর পর চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে। ছোট সাইজের এক ডজন পাকা চম্পা কলা ৮০ থেকে ৯০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। আবার এক হালি ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সাগর কলার ক্ষেত্রে এক হালি ৪০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে বাজারের এসব কলার অধিকাংশই কৃত্রিমভাবে পাকানো ও নিম্নমানের বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
শমশেরনগর বাজারে কলা কিনতে এসেছিলেন জমশেদ আলী । তিনি বলেন, কিছুদিন আগেও যে চম্পা কলার হালি ছিল ১৫ টাকা, রমজান মাস শুরু হতে না হতেই এখন সেই কলার হালি ৩০ টাকা হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, কলা ব্যবসায়ীদের কেউ তদারকি না করায় ব্যবসায়ীরা নিজেদের মতো দাম আদায় করে নিচ্ছে। এতে আমাদের মতো নিম্ন আয়ের রোজাদার লোকেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
শমশেরনগর বাজার বনিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুল হান্নান বলেন, সুযোগ বুঝে যে যার মতো রোজদারী ক্রেতাদের কাছ থেকে কলার দাম আদায় করে নিচ্ছেন। তবে এসব বিষয় দেখভালের দায়িত্ব আমাদের নয়।
এ ব্যাপারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আল আমীন বলেন, আসলে বাজার ঘুরে দেখা গেছে কলার দাম বেশি। তবে সরকারিভাবে কলার দাম নির্ধারণ করা না থাকায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তারপরেও কোথাও অতিরিক্ত কলার দাম নেয়া হলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তাই প্রশাসনের কাছে আমাদের জোর দাবি সময় থাকতে বাজার এখনি লাগাম টেনে ধরুন।
এদিকে পুরো জেলা জুরে প্রতিদিন চলছে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর মৌলভীবাজারের অভিযান। অভিযানে এসবের সত্যতাও পাওয়া গিয়েছে ফলে ভোক্তা অধিদপ্তর জরিমানাও করা হচ্ছে প্রতিদিন। এতে করে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। সাধারণ ক্রেতাদের দাবি অতি তাড়াতারি মৌলভীবাজারের প্রত্যেক উপজেলার পাইকারী ও খুচরা কাঁচা বাজার গুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হোক এতে করে সাধারণ জনগণ দুমুঠো খেয়ে মরতে পারবে এমনটাই দাবি সাধারণ জনগণের।