মৌলভীবাজারের আলোচিত কলেজ ছাত্র রেজাউল করিম নাঈম হত্যা মামলায় অভিযোগপত্রভুক্ত পলাতক প্রধান ৫ আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।
সোমবার (১৯ নভেম্বর) মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাঁরা আত্মসমর্পণ করেন। আত্মসমর্পণের পর আসামিরা আদালতের কাছে জামিনের আবেদন করেন। তবে আদালত তাঁদের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠনোর নির্দেশ দেওয়া হয়। আত্মসমর্পণকারিরা হলেন, প্রধান আসামি বর্ষিজোড়া এলাকার নুরুল ইসলাম, তার ছেলে রনি মিয়া, ভাতিজা আনোয়ার হোসেন, নাতি সোহান মিয়া, ইমন মিয়া।
মৌলভীবাজার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জিআরও মো: ইউনুছ মিয়া পাঁচ আসামির আত্মসমর্পণের বিষয়টি প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য; গত মঙ্গলবার বর্ষিজোড়ার নিজ বাসায় বাবা -মা ও বোনের সামনে সন্ধ্যা ৭টার দিকে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের টিভি হাসপাতাল এলাকার বর্ষিজোড়া গ্রামে মো. চেরাগ মিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী নুরুল ইসলামের ঝগড়া হয় নুরুল ইসলাম দাবি করেন তার ছবি ব্যবহার করে চেরাগ মিয়া ফেক আইডি চালাচ্ছেন। এর ঘটনার জেরে শুরু হয় হাতাহাতি। এক পর্যায়ে চেরাগ মিয়ার ছেলে রেজাউল করিম নাঈম এগিয়ে আসলে তাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করেন নুরুল ইসলাম, তার ছেলে রনি মিয়া ও সহযোগীরা। এতে নিজ বাড়িতেই নাঈমের রক্তক্ষরণ হয়। নাঈমের বাবা-মা তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হলে তার মৃত্যু হয়।
দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে পরিবারে সবার বড় নাঈম। সে এ বছর মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেছে। পরে বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) নিহত রেজাউল করিম নাঈমের বাবা মো. চেরাগ মিয়া বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন বর্ষিজোড়া এলাকার নুরুল ইসলাম, তার ছেলে রনি মিয়া, আনোয়ার হোসেন, সোহান মিয়া, মো. সাইমন ইসলাম, ইমন মিয়া, আলামিন মিয়া, সাকিল হোসেন, প্রধান আসামি নুরুল ইসলামের স্ত্রী পারভিন বেগম ও মেয়ে জেসি আক্তারসহ অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জন।
আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৮:৪৫ | শুক্রবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি