লিওনেল মেসির দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরি কাটিয়ে লাউতারো মার্টিনেজের ১১২ মিনিটের গোলে কলম্বিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো কোপা আমেরিকা শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা। ৬৪ মিনিটে দৌড়াতে দৌড়াতে পড়ে গিয়ে চোট পেয়ে বেঞ্চে বসে কাঁদতে কাঁদতে হাত দিয়ে মুখ ঢেকে ফেলেন মেসি। আর্জেন্টিনাকে রেকর্ড ১৬তম কোপা শিরোপা জেতার পর তার অধিনায়ককে জড়িয়ে ধরতে তার কাছে ছুটে যান মার্টিনেজ।
সোমবার (১৫ জুলাই) হার্ড রক স্টেডিয়ামে দর্শক সমস্যার কারণে ১ ঘণ্টা ২২ মিনিট দেরিতে শুরু হয় ম্যাচটি।
মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে ফাইনালে ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যেতে পারত আর্জেন্টিনা। মন্টিয়েলের ক্রস ঠিকঠাক পা লাগাতে পারেনি আলভারেজ। ষষ্ঠ ও সপ্তম মিনিটে দুটি দারুণ সুযোগ পেয়েছিল কলম্বিয়া। সপ্তম মিনিটে সান্তিয়াগো আরিয়াসের হেড থেকে উড়ে আসা বল বক্স থেকে শট নেন জন কর্ডোবা।
তবে তার ডান পায়ের শট বাঁ দিকের পোস্টে লেগে বাইরে চলে যায়। ২০ মিনিটের মাথায় গোলের দারুণ একটি সুযোগ পেয়েছিলেন লিওনেল মেসি। দি মারিয়ার পাস থেকে নেয়া মেসির শট কলম্বিয়ার ডিফেন্সের গায়ে লেগে দুর্বল হয় এবং গোলরক্ষক ভার্গাস ধরে ফেলেন। ৩৩তম মিনিটে জেফারসন লেরমার দূরপাল্লার বুলেট গতির শট ঠেকিয়ে দেন আর্জেন্টাইন গোল রক্ষক।
দারুণ সুযোগ বঞ্চিত হয় কলম্বিয়া। ম্যাচের ৪৪ মিনিটে মেসির নেওয়া ফ্রি কিকে তাগলিয়াফিকো মাথা লাগালেও বল চলে যা গোল বারের উপর দিয়ে। সমতায় থেকে বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতেই আক্রমণ কলম্বিয়ার। ৪৭ মিনিটে সান্তিয়াগো অ্যারিয়াসের ডান পায়ের দ্রুতগতির শট গোলবারের ডানপাশ দিয়ে চলে যায়।
এরপর কাউন্টার অ্যাটাকে ম্যাক অ্যালিস্টারের অ্যাসিস্ট থেকে ডি মারিয়ার করা বাঁপায়ের শট সেভ দেন গোলরক্ষক ভার্গাস। ৫৪ মিনিটে ডেভিনসন সানচেজের হেড চলে যায় গোলবারের উপর দিয়ে।
৬৪ মিনিটে উঠিয়ে নেয়া হয় মেসিকে। বদলি হিসেবে নিকোলাস গঞ্জালেজকে মাঠে নামান কোচ। ৭৫তম মিনিটে আর্জেন্টিনার গোল অফসাইডে বাতিল হয়। শেষদিকে আর্জেন্টিনা বেশ কিছু আক্রমন করলেও জালের দেখা পায়নি। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
অতিরিক্ত সময়ের ৯৫ মিনিটে গনজালেসের শট ঝাপিয়ে পড়ে ঠেকান কলম্বিয়া গোলরক্ষক। অবশেষে ১১২ তম মিনিটে আসে কাঙ্কিত গোল। লো সেলসোর এসিস্ট থেকে লাউতারো মার্টিনেজ গোল করে শিরোপা ভাগ্য গড়ে দেন। এতে শিরোপা জয়ের আনন্দে মাতে আলবিসেলেস্তরা।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম