স্বাস্থ্যখাতে কর্মরত কোয়ারেন্টিনে যাওয়ার সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। পরশুদিন এক ছোটভাই করোনা টেস্ট করে আসলো। তার স্ত্রীকেও করোনা টেস্ট করতে হবে।
এখন প্রশ্ন জাগতে পারে করোনা রোগীর সংস্পর্শে আপনি কি করবেন? শুধুই যে স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছে কিংবা করোনা রোগীর সংস্পর্শে আসছে তা নয়, আপনিও হতে পারেন। হয়ে গেলে কি করবেন? সংক্ষেপে ছোট একটা গাইডলাইন দিই
-করোনা পজিটিভ এমন কারো সংস্পর্শে এসেছেন, সেটি জানার পর আগে হিসেবে করবেন কতদিন আগে উনার সংস্পর্শে এসেছেন।
-২দিন কিংবা তারও বেশী দিন আগে সংস্পর্শে এসে থাকলে সেদিনই করোনা টেস্ট করিয়ে নিতে পারেন। সেইদিন যদি সম্পূর্ণ সুস্থ থাকেন তাহলে আরো ২-৩ অপেক্ষা করে করোনা টেস্ট করালেও চলবে।
– ধরুন, করোনা পজিটিভ হয়েছে এমন কারো সংস্পর্শে এসেছেন এটা যদি সেদিনই জানতে পারেন, তাহলে সেদিন করোনা টেস্ট করা অর্থহীন, ২ দিন অপেক্ষা করে করোনা টেস্ট করান। কারণ করোনা আপনার শরীরে প্রবেশ করার ৪৮ ঘন্টা পর সেই ভাইরাস সনাক্ত করা সম্ভব, এর আগে ভাইরাস সনাক্ত করা যায় না। এই ৪৮ ঘন্টাকে বলে Window Phase, এই Window Phase-এ ভাইরাসকে কোন পরীক্ষাতেই সনাক্ত করা সম্ভব নয়। এই Window Phase পার হওয়ার পর আপনার শরীরে ভাইরাস সক্রিয় হবে, যার ফলে ভাইরাস সনাক্ত করা সম্ভব হয় (তবে কারো কারো আরো সময় লাগে)।
-১ম টেস্টে নেগেটিভ আসলে সেটিকেই চূড়ান্ত বলে ধরে নিবেন না। ৭ দিন পর ২য় বার টেস্ট করে নিশ্চিত হতে হবে। এই ৭টি আপনি কোয়ারেন্টিনে থাকবেন, ২য় বার নেগেটিভ আসলে অনেকখানি নিশ্চিত হওয়া যাবে আপনি করোনা রোগী নন। তারপরও মোট ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকবেন আপনার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কথা ভেবে। ১৪ তম দিনে সম্পূর্ণ সুস্থ থাকলে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায় নিশ্চিত হওয়া যাবে আপনি করোনা রোগী নন।
– সংস্পর্শে এসেছেন এটা জানার পরই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া শুরু করবেন না। কারণ ছাড়া Hydroxy Chloroquine খাওয়া বিপদজ্জনক, এটা মাথায় রাখবেন। টেস্ট পজিটিভ হলেই ওষুধ চালু করবেন এবং সেটা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলবে।