যান্ত্রিক ভেন্টিলেটর বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবার জন্য শেষ ভরসা হিসেবে অতি জরুরি হয়ে উঠেছে । বিশেষ করে যেসব রোগী ক্রিটিক্যাল পর্যায়ে, শ্বাস নিতে আর পারেন না তাদের ক্ষেত্রে ভেন্টিলেটর ব্যবহার হচ্ছে।
তবে সম্প্রতি প্রশ্ন উঠেছে, এই ভেন্টিলেটর কী আসলে ক্রিটিক্যাল রোগীদের উপকারে আসছে? অনেক ক্ষেত্রে ভেন্টিলেটর করোনা রোগীদের ক্ষতির কারণ বলে খবর চাউর হয়েছে।
ওয়েবএমডি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনায় আক্তান্ত অনেক রোগী যাদের ক্ষেত্রে ভেন্টিলেটর ব্যবহার করা হয়েছে তারা অনেকে মারা গেছেন। এছাড়া এদের মধ্যে যারা ভেন্টিলেটির ব্যবহারে বেঁচে গেছেন তাদের মধ্যে পরবর্তীতে শ্বাস কষ্টের সমস্যা দেখা দিয়েছে।
এনিয়ে নিউ ইয়র্ক সিটির মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের ইন্টারভেনশনাল পালমোনোলজিস্ট ডাঃ উদিত ছাদ্দা বলেন, এজন্য অনেক আইসিইউতে দেরিতে করে করোনা রোগীকে ভেন্টিলেটর দেয়া হচ্ছে ।
তিনি আরও বলেন, বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ রোগী যাদের ভেন্টিলেটর দেয়া হয়েছে তারা মারা গেছেন।
তবে ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডাঃ হাসান খুলি বলেন, গুরুতর অসুস্থ রোগীরা মারা যান কেননা কোভিড-১৯ এর কারণে আরও বেশি করে অসুস্থ হয়ে যায়। তাদের বাঁচিয়ে রাখতেই ভেন্টিলেটর ব্যবহার করা হয়।
তবে এই দুই চিকিতসকে জানান, ভেন্টিলেটর ব্যবহারে রোগীর অনেক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
নিউ ইয়র্ক সিটির ডেভিড ল্যাট নামে এক আইনজীবী ও ব্লগার যিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাতপাতালে ভর্তি হন। তার অসুস্থতা গুরুতর পর্যায়ে যাওয়ায় তাকে ভেন্টিলেটর দেয়া হয়।
সুস্থ হওয়ার পর ওয়াশিংটন পোস্টে লিখেন, হাসপাতালতে ভর্তি হওয়ার আগে আমার ফিজিসিয়ান বাবা আমাকে সতর্ক করেছিল এই বলে যে, তোমার ভেন্টিলেটর না নেওয়াই শ্রেয়। এতে মানুষ আর ফিরে আসে না।
বাঁচার পর ভেন্টিলটরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ডেভিড, তবে তিনি শ্বাস কষ্টের সমস্যায় এখন ভুগছেন।
ছাদ্দা আরও বলেন, ভেন্টিলেটর ব্যবহারের রোগীরা সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকে, এবং অনেকের মানসিক জটিলতার ভোগায় ঝুঁকিও থাকে।
এছাড়া এই চিকিৎসক জানান, এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অনেক, যত বেশিদিন কেউ ভেন্টিলেটরে থাকবে তার তত বেশি এসব সমস্যা দেখা দিবে।