করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯ মোকাবেলায় অন্যতম সফল দেশ তুরস্ক। নানামুখি পদেক্ষপে মারণঘাতী ভাইরাসটিকে অনেকটাই ঠেকিয়ে দিয়েছে দেশটি। যেসব কার্যক্রম প্রশংসিত হচ্ছে সারা বিশ্বেই।
করোনা প্রতিরোধে এক উজ্জল দৃষ্টান্ত তুরস্ক। শুরু থেকেই দেশটি যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ায়, সর্বোচ্চ করোনা আক্রান্ত ১০ দেশের তালিকায় নাম থাকার পরও মৃত্যুহার অনেক কম।
আর আশার কথা, সংক্রমণের সংখ্যাও কমছে দিন দিন। কিন্তু কিভাবে করতে পারলো দেশটি?
প্রথম করোনা সংক্রমিত ধরা পড়ার এক মাসেরও বেশি সময় আগে ১০ লাখ জাপনি ওষুধ ফ্যাভিপিরাভির ও হাইড্রোক্সি-ক্লোরো-কুইন মজুদ করে তুরস্ক।
আর অন্যান্য দেশের মত ওষুধগুলো শুধু সংকটাপন্ন রোগীর ক্ষেত্রেই নয়, প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দিলেও ব্যবহার করেছেন চিকিৎসকরা। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন দুটি ওষুধেই সুফল পেয়েছেন তারা।
সুসংহত স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর ভরসা রেখে তুরস্ক নাগরিকদের ভাগ্য নিয়ে সবচেয়ে বড় জুয়াটা খেলেছে কঠোর লকডাউন ও কারফিউ এর নিয়ম-কানুন দিয়ে।
৩১টি প্রদেশে শুধু সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কারফিউ জারি করা হয়েছে। আর লকডাউনের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, ২০ বছরের বেশি বয়সী এবং ৬৫ বছরের কম বয়সীরা এর আওতায় পড়বেন না। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাটসহ কার্যত সবকিছুই বন্ধ রয়েছে।
তাছাড়া, আগে থেকেই বিপুল পরিমাণ চিকিৎসা সরঞ্জাম উৎপাদন, হাসপাতালগুলোতে যথেষ্ট সংখ্যক শয্যা ও আইসিইউ তুর্কি সফলতার বড় কারণ।
তবে খুব কম সময় দিয়ে কারফিউ জারি করায় সমালোচনার মুখেও পড়ে প্রশাসন। কোথাও কোথাও সামাজিক দূরত্ব না মেনে ভিড় করে কোনাকাটা করতে দেখা যায় নাগরিকদের। কোথাও কোথাও হয়রানির খবরও পাওয়া গেছে।