মহামারি করোনা যূদ্ধে বিপর্যস্থ বিশ্ববাসি। ভয়ার্ত মানূষ মৃত্যু ভয়ে আতংকিত। স্বাস্থ্যবিজ্ঞান পরাভুত করোনার কাছে। চেষ্টা চলছে মরনঘাতি করোনার ঔষুধ আবিস্কারের। বিজ্ঞানীরা নিরলস পরিক্ষা চালাচ্ছেন বিশ্বজুড়ে। এখনো সফলতার সংবাদ মিলেনি কোথায়ও। কিন্তু ভেক্সিন আবিস্কারের দাবী করছে অনেক দেশ। করোনার ভেক্সিন আবিস্কারের দাবিদার এখন বাংলাদেশও। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিজ্ঞানিরা ভেক্সিন আবিস্কার করেছে, এটা সত্যি আনন্দের সংবাদ। অভিনন্দন জানাই বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীদের। ইতিমধ্যেই ভারত ১৫ আগষ্টে করোনা ভেক্সিন বাজারে ছাড়ার ঘোষনা দিয়েছে। অন্যান্য দেশেও এখন পরীক্ষামূলক বিতরন শুরু হয়েছে। আশাকরা যায়, হয়ত এ বছরেই করোনা ভেক্সিন বাজারে চলে আসবে।
ভেক্সিন আবিস্কারের আনন্দ অবশ্যই থাকবে কিন্তু, ভেক্সিন প্রতিশেধক নয়। করোনায় আক্রান্ত রোগীরা এই ভেক্সিনে সুস্থ্য হবেন। অগ্রিম ভেক্সিন গ্রহন করলে করোনায় আক্রান্ত হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।যারা ইতিমধ্যে আক্রান্ত হয়েছে, যারা চিকিতসাধীন রয়েছে তাদের সব চলমান থাকতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া বিধি নিষেধ ( যেমন সামাজিক দুরিত্ব, মাস্ক ব্যবহার এবং, হাত মূখ ধোয়া) মেনে চলতে হবে। স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীদের প্রচেষ্টা অব্যহত থাকলে আশাকরা যায় শিঘ্রই ঔষুধ আবিস্কৃত হয়ে যাবে কোথায়ও।
বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থাটি ভয়াবহ। যাদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে শুধু তাদের পরিসংখন পাওয়া যাচ্ছে। যাদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি তাদের মধ্যে কতজন ইতিমধ্যে আক্রান্ত হয়ে আছে তা নির্নয় করা কঠিন। এখন লক ডাউন করে বিশেষ এলাকায় পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থ্যা করা হয়েছে। এই লক ডাউনও অগ্রাহ্য করার প্রবনতা দেখা যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। অনেকে ভাবছেন, আমার হবেনা অন্যের হবে যাই দেখে আসি। ইতিমিধ্যেই তিনি আক্রান্ত হননি বোঝা যাবেনা। এই মনোভাব দেশে প্রানঘাতের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করবে। তাই আসুন, সবাই মিলে করোনা মোকাবেলা করতে নিয়ম মেনে চলি। ভেক্সিন আবিস্কারের আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে বেড়িয়ে পরা সঠিক হবেনা। আরও কিছুদিন করোনার সাথে জীবন চলার নিয়ম রপ্ত করে চলি। করোনার কোন ঔষুধ নেই, সাবধানতাই প্রতিকার। কখন কে কিভাবে আক্রন্ত হবো কেউ জানিনা। সাবধান হলে নীজে বাচবো, অন্যকেও সুস্থ্য থাকতে সাহায্য করবো।
আজিজুর রহমান প্রিন্স
রাজনীতিবিদ, লেখক ও গবেষক
টরেন্টো, কানাডা
৪ জুলাই ২০২০।