মোঃ খোরশেদ আলম, কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধিঃ বর্তমানে করোনা ভাইরাস নতুন রূপ “ওমিক্রন” বিস্তার লাভ করছে এবং সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনা সবাই মেনে চলুন। “ওমিক্রন” ভাইরাস সংক্রমণ বিস্তার রোধে জরুরী প্রয়োজন ব্যতীত ঘরের বাহিরে যাওয়া থেকে সবাই বিরত থাকতে হবে। “ওমিক্রন” ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে হলে জনসচেতনতার বিকল্প নেই। আসুন আমরা সবাই সচেতন হই।
সরকারের প্রদত্ত নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন এবং সর্বক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান করুন, সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখুন। নিজে বাঁচুন, আপনার পরিবার, সমাজ এবং দেশের জনগনকে বাঁচান।
* মসজিদসহ সকল উপাসনালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।
* গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে।
* যেসব দেশে এই ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে, সেসব দেশ থেকে আসা যাত্রীদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে হবে।
* সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (সকল মাদ্রাসা, প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, সহশিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়) ও কোচিং সেন্টারে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে।
* সকল স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে সেবাগ্রহিতা, সেবা প্রদানকারী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঠিকভাবে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরাসহ সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের ১৫ নির্দেশনায় বলা হয়েছে :
* দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া, জিম্বাবুয়ে, বতসোয়ানা, এসওয়াতিনি, লেসোথোসহ যেসব দেশে ওমিক্রনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, সেসব দেশ থেকে আসা যাত্রীদের বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও স্ক্রিনিং জোরদার করতে হবে।
* সব ধরনের (সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও অন্যান্য) জনসমাগম নিরুৎসাহিত করতে হবে।
* বাড়ির বাইরে সবার সঠিকভাবে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরাসহ সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।
* রেস্তোরাঁয় ধারণক্ষমতার অর্ধেক বা তার কম আসনে বসে খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
* সকল প্রকার জনসমাবেশ, পর্যটন স্থান, বিনোদনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার, সিনেমা হল/থিয়েটার হল ও সামাজিক অনুষ্ঠানে (বিয়ে, বৌভাত, জন্মদিন, পিকনিক পার্টি ইত্যাদি) ধারণক্ষমতার অর্ধেক বা তার কম সংখ্যক লোক অংশগ্রহণ করতে পারবে।
* অফিসে প্রবেশ এবং অবস্থানকালীন বাধ্যতামূলক নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাটা দাফতরিকভাবে নিশ্চিত করতে হবে।
* মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সচেতনতা তৈরির জন্য কমিউনিটি পর্যায়ে মাইকিং ও প্রচার চালানো যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে মসজিদ/মন্দির/গির্জা/প্যাগোডার মাইক ব্যবহার করা যেতে পারে এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলর/ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যসহ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করা যেতে পারে।
আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুন। আমিন!
অনুরোধক্রমেঃ- মোঃ আবুল হাসিম অফিসার ইনচার্জ মুরাদনগর থানা, কুমিল্লা।