ডেস্ক রিপোর্ট: করোনা চিকিৎসায় মডেলে পরিণত হয়েছে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল (সিপিএইচ)। অন্যান্য হাসপাতালের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠলেও এই প্রতিষ্ঠানটি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবায় পরিনত হয়েছে মডেল হাসপাতালরুপে।
এই সাফল্যের পেছনের নায়ক হিসেবে উঠে এসেছে ডিআইজি হাসান উল হায়দার চৌধুরীর নাম। তার সার্বিক তৎপরতায় আক্রান্ত বিশাল পুলিশ বাহিনীকে নিরবিচ্ছিন্ন সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে বলে মনে করছেন সবাই। আর করোনার ফ্রন্ট লাইন যোদ্ধা হিসেবে রোগীদের কাছে ডাক্তারদের পরেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন হাসপাতাল পরিচালনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সান্তু। তিনি নিজেই প্রতিদিন হাসপাতালের রোগীদের নিয়মিত খোজ খবর রাখছেন।
সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা সাইফুল ইসলাম সান্তু এর ভূমিকাই আজ এই হাসপাতালটিকে একটি অনন্য ব্যতিক্রম হাসপাতালরুপে পরিনত করেছে। এ হাসপাতলে প্রতিদিন দিন করোনা মুক্ত রোগীদের ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে জানানো হচ্ছে বিদায়।
হাসপাতালের সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সান্তু গণমাধ্যমকে জানান, করোনা রোগীদের কাছে ডাক্তার, নার্স ছাড়াও আমরা যারা প্রশাসনে কর্মরত আছি তারা প্রতিদিন নিয়ম করে দেখতে যাচ্ছি, তাদের খোঁজ খবর নিচ্ছি। সর্বোপরি তারা কখনো না ভাবেন যে তারা হাসপাতালে আছেন, যেন তারা নিজেদের বাসায় আছেন এইরকম একটি পরিবেশ তৈরি করতে আমরা আপ্রাণ চেস্টা চালাচ্ছি।
আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আল্লাহর রহমতে আমাদের পুলিশ সদস্যরা ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন, এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের।
প্রসঙ্গত, ১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত ৭০ শয্যার এ হাসপাতালটি ১৯৯৭-২০০৫ সালে ‘বাংলাদেশ পুলিশ হাসপাতালের আধুনিকীকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়।
হাসপাতালটিতে বর্তমানে ১২০ জন চিকিৎসক, ৭০ জন নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীর পাশাপাশি অন্যান্য হাসপাতাল থেকে আসা আরও ১৫০ জন চিকিৎসক সিপিএইচ এবং অন্যান্য আইসোলেশন কেন্দ্রের কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন।
এ পর্যন্ত প্রায় ৬ হাজারেরও বেশী করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগীদের সেবা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে (সিপিএইচ)।