ইউরোপের দেশ ইতালিতে একদিনে ১৩৩ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে।
ইতালির সরকারি দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী ১৩৩ জনকে নিয়ে রোববার দিনশেষে দেশটিতে কভিড-১৯
রোগে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬৬। নভেল করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা চীনের পরই এখন
ভূমধ্যসাগরীয় দেশ ইতালির অবস্থান। চীনে মৃতের সংখ্যা ২৮ নজন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৯৮ জনে।
চীন ও ইতালির পর সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে ইরানে ১৯৪ জন। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে মৃতের সংখ্যা
একদিনে বেড়েছে ৪৯ জন।
এছাড়া ফ্রান্সে ১৯ জন, স্পেনে ১৭ জন ও যুক্তরাষ্ট্রে ১৯ জনের মৃত্যু ঘটিয়েছে করোনাভাইরাস। বিশ্বজুড়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৮০২।
বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ৬৯৬। এর মধ্যে প্রায় ৬১ হাজার জন সেরেও উঠেছেন।
একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা সবেচেয়ে বেশি বেড়েছে ইতালিতে ১ হাজার ৪ ৯২ জন। দেশটিতে কভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে ৭ হাজার ৩৭৫ জনে।
নতুন আক্রান্তের সংখ্যা চীনে মাত্র ৫২ জন বাড়লেও দক্ষিণ কোরিয়ায় বেড়েছে ২৭২ জন, ইরানে বেড়েছে ৭৪৩ জন, ফ্রান্সে বেড়েছে ১৭৭ জন, জার্মানিতে বেড়েছে ২৪০ জন, স্পেনে বেড়েছে ১০০ জন, যুক্তরাজ্যে বেড়েছে ৬৪ জন, নেদারল্যান্ডসে বেড়েছে ৭৭ জন, যুক্তরাষ্ট্রে বেড়েছে ৪০ জন।
বাংলাদেশে ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে, এর দুজনই এসেছেন ইতালি থেকে।
মোট আক্রান্তের সংখ্যায় চীনের (৮০৭০৩) পরই এখন রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া (৭৩১৩) ও ইতালি (৭৩৭৫)।
ইতালিতে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকায় রোববারই দেশটির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তে এক কোটি ৬০ লাখ মানুষকে কোয়ারেন্টিনে নেওয়ার ঘোষণা দেন।
১৪টি প্রদেশের ওই দেড় কোটির বেশি মানুষ এখন বিশেষ অনুমতি ছাড়া এলাকা ছাড়তে পারবেন না। এছাড়া স্কুল, জিম, জাদুঘর, নাইটক্লাব বন্ধের ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে।
আগামী ৩ এপ্রিল পর্যন্ত এই অবস্থা বলবৎ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
ইতালির সেনাপ্রধান সালভাতর ফারিনাও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর দিয়েছে বিবিসি। তবে তিনি বলেছেন, তিনি আইসোলেশনে রয়েছেন এবং ভালোই আছেন।