এবার করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রুখতে সব দেশের নাগরিকদের জন্য অন-অ্যারাইভাল ভিসা বন্ধ করেছে নেপাল।
শুক্রবার (১৩ মার্চ) নেপালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বহির্গমন বিভাগ এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৪ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সব দেশের নাগরিকদের জন্য অন-অ্যরাভাইল
ভিসা বন্ধ থাকবে। এরপরও কারো ভিসা থাকলে নেপাল পৌঁছার অন্তত সাতদিন আগের করোনা টেস্ট
সনদপত্র ত্রিভুবন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের বহির্গমন অফিসে দেখাতে হবে। ভিসা নেয়ার বেলায়ও
সংশ্লিষ্ট কূটনৈতিক অফিসে অন্তত সাতদিন আগের মেডিকেল সার্টিফিকেটসহ আবেদন করতে হবে।
এদিকে ১৯ মার্চের ফ্লাইট ছাড়া নেপালগামী সব ফ্লাইট বাতিল করেছে বিমান বাংলাদেশ।
বিমান সূত্র জানায়, নেপালে সপ্তাহে সাতটি ফ্লাইট পরিচালনা করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। ইতিমধ্যে
১৫ ও ১৭ মার্চের ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ালাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোকাব্বির হোসেন বলেন,
‘অন অ্যারাইভাল ভিসা বন্ধ করায় ১৫ ও ১৭ মার্চ নেপালগামী সব ফ্লাইট বাতিল করেছে বিমান
বাংলাদেশ। তবে আটকেপড়াদের আনতে ১৯ মার্চ ফ্লাইট চলাচল করবে।’
একই রুটে সপ্তাহে ৭টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হিমালয় এয়ারলাইন্সও তাদের ফ্লাইট কমাচ্ছে।
এ বিষয়ে হিমালয় এয়ারলাইন্সের জেনারেল সেলস এজেন্ট (জিএসএ) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন,
‘চলমান সংকটে ফ্লাইট কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। অনেক ফ্লাইট বাতিল করতে হচ্ছে
আমাদের। আগামী এপ্রিল থেকে আমরা সপ্তাহে সাতটির পরিবর্তে তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করব।’
জানা গেছে, করোনা প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সব স্থলবন্দর দিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে শুধু ত্রিভুবন বিমানবন্দর
দিয়ে দেশটি প্রবেশের সুযোগ রেখেছে নেপাল।
তবে সেক্ষেত্রে কড়াকড়ি নিয়ম আরোপ করা হয়েছে।
সর্বোচ্চ সাত দিন আগের স্বাস্থ্য পরীক্ষার (পিসিআর) সনদ ছাড়া কাউকে নেপালে প্রবেশ করতে দেয়া
হবে না বলে জানিয়েছে ত্রিভুবন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া ১৪ মার্চ থেকে নেপালে যাওয়া সব বিদেশি এবং নন-রেসিডেন্ট নেপালিদের ‘সেলফ কোয়ারেন্টিন’ ও
‘হোম কোয়ারেন্টিনে’ থাকতে হবে বলেও নির্দেশনা দেয় হয়েছে।
যে কারণে ১৪ মার্চ থেকে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত মাউন্ট এভারেস্টে আরোহন বন্ধ রাখারও ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।
নেপালে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে। সীমান্তবর্তী দেশ ভারতে
৭০ জনেরও বেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্তের খবরের পরপরই এমন সিদ্ধান্ত নেয় দেশটি।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ডিসেম্বরের শেষদিকে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস এরই মধ্যে
১৩০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ৪২ হাজার ৭৮৩ জন বলে জানিয়েছে বিশ্ব
স্বাস্থ্য সংস্থা। মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ৩৭৪ জন ছাড়িয়েছে। তবে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি
ফিরেছেন ৭০ হাজার ৯২০ জন। সুত্রঃ যুগান্তর।