দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় মোট মারা গেছেন ১ হাজার ৮৮৮ জন। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৩ হাজার ৭৭৫ জন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৪৯ হাজার ২৫৮ জন।
আজ বুধবার (১ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৬ হাজার ৮৯৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় আগের কিছু মিলিয়ে ১৮ হাজার ৮৭৫টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৭ লাখ ৮৪ হাজার ৩৩৫টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও ৩ হাজার ৭৭৫ জনের মধ্যে। ফলে শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৮ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৪১ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৮৮৮ জনের। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ২ হাজার ৪৮৪ জন। এতে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৬২ হাজার ১০৮ জনে।গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের ৩৮ জন পুরুষ, তিনজন নারী। তাদের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব চারজন, চল্লিশোর্ধ্ব পাঁচজন,পঞ্চাশোর্ধ্ব ১২ জন, ষাটোর্ধ্ব ১১ জন, সত্তরোর্ধ্ব সাতজন, ৮০ বছরের বেশি বয়সী একজন এবং শতবর্ষী একজন রয়েছেন। ২৩ জন মারা গেছেন হাসপাতালে এবং বাড়িতে মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৭ জন, খুলনা বিভাগে পাঁচজন, বরিশাল বিভাগে তিনজন, সিলেট বিভাগে দুজন এবং রংপুর বিভাগে একজন মারা গেছেন।
বুধবারের বুলেটিনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২১ দশমিক ১২ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ০৩ শতাংশ। আর রোগী শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪১ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৬ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে আরও ৯৫৫ জনকে এবং এ পর্যন্ত আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ২৭ হাজার ৫৪২ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৫৫৫ জন এবং এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ১১ হাজার ৯৯৫ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন ১৫ হাজার ৫৪৭ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে দুই হাজার ৪২৯ জনকে, এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে তিন লাখ ৬৬ হাজার ২৯৫ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পেয়েছেন তিন হাজার ৪১৪ জন, এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইন থেকে মোট ছাড় পেয়েছেন তিন লাখ দুই হাজার ৪১৩ জন। বর্তমানে হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৬৩ হাজার ৮৮২ জন।
ডা. নাসিমা বরাবরের মতো করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনসহ প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেশবাসীর উদ্দেশে তুলে ধরেন।
চীনের উহান শহর থেকে গত ডিসেম্বরে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৫ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। মৃতের সংখ্যা ৫ লাখ ১৪ হাজারের বেশি। তবে ৫৮ লাখ ১২ হাজারের মতো রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।