চীনের বাইরে ইতালিতে দ্রুত ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস। দেশটিতে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা হাজারের কাছাকাছি। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ২৯ জন। এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে কর্তৃপক্ষ দেশটির উত্তরাঞ্চলে ভ্রমণ–নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এতে দেশটির অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাভাইরাসের কারণে ইতালির উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি শহর অবরুদ্ধ। খুব অল্পসংখ্যক মানুষকে ভেতরে বা বাইরে যেতে দেওয়া হচ্ছে।
উত্তর ইতালি দেশটির সবচেয়ে বড় শিল্পাঞ্চল। লম্বার্ডি একাই ইতালির শিল্প উৎপাদনে ৪০ ভাগ অবদান রাখে।
মিলান হলো ইতালির আর্থিক খাত ও অন্যান্য পরিষেবার একটি বড় কেন্দ্র। অবশ্য মিলান অবরুদ্ধ করা হয়নি। তবে সেখানকার ক্যাথেড্রাল (ডুমো) ও অপেরা হাউস লা স্কালার মতো প্রধান পর্যটন ও সাংস্কৃতিক এলাকাগুলো বন্ধ হয়ে গেছে।
গত দুই বছর ইতালিকে দুর্বল প্রবৃদ্ধি ও বাণিজ্য মন্দার সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে। গত বছরের শেষ প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধির হার কমেছে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ। এই বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি আরও কমতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই স্বাস্থ্য সংকট দেশটির আরেকটি মন্দার কারণ হতে পারে।
এটা ঠিক যে এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব না হলেও চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধির হার কমার আশঙ্কা ছিল ইতালির। তবে এখন স্পষ্ট করে বলা হচ্ছে, এই সংকটের কারণে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ক্ষতি কতটা মারাত্মক হবে, তা নির্ভর করছে ভাইরাসের বিস্তারের ওপর।
সূত্র: প্রথম আলো।