প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস এবার থাবা বসিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রায়েনের শরীরে। গত ১০ জুলাই মিয়ামিতে এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের সঙ্গে হাজির ছিলেন ব্রায়েন। তার পর আর প্রকাশ্যে তাঁকে দেখা যায়নি। ফলে ১০ জুলাইয়ের পরেই তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে সূত্রের খবর। তবে নিজের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে যাতে না আসে, তার চেষ্টা চালিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে তাঁর সেই চেষ্টা সফল হয়নি।
গত কয়েকমাস ধরেই করোনাভাইরাসের বেনজির তাণ্ডবে রীতিমতো কাঁপছে মার্কিন মুলুক। ইতিমধ্যেই মারণ ভাইরাসের ছোবলে দেড় লক্ষ মার্কিন নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪ লক্ষের গণ্ডি ছুঁইছুঁই করছে।
উল্লেখ্য,গত মে মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন হোয়াইট হাউসে হানা দিয়েছিল করোনা। আক্রান্ত হয়েছিলেন ট্রাম্পের ব্যক্তিগত পরিচারক। তার পরে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কন্যা ইভাঙ্কা ট্রাম্পের ব্যক্তিগত সচিবও মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের প্রেস সচিবের করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছিল। হোয়াইট হাউসে করোনার থাবা বসানোর পরেই রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন ট্রাম্প।
ইদানিং সুশীল বালকের মতো মাস্ক পরতে শুরু করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এমনকি দেশবাসীকেও মাস্ক পরার অনুরোধ জানিয়েছেন। আর তার মধ্যে এলো সবচেয়ে বড় দুঃসংবাদ। ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘সিএনএন’ জানিয়েছে, পারিবারিক এক অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পরেই করোনায় আক্রান্ত হন রবার্ট ও’ব্রায়েন। আপাতত বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে তিনি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন।