মহামারি করোনার এই দুর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ছাত্রলীগের নেতাকর্মীকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। করোনাকালে বিশেষ করে তারা কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছে এবং ঝুঁকি নিয়ে অসংখ্য লাশ দাফন করেছে। ছাত্রলীগের পাশাপাশি এরপর যুবলীগ, কৃষক লীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও মাঠে নেমে পড়েছিল।
গতকাল সোমবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে ছাত্রলীগের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছার স্মরণে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, করোনাকালে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে ছাত্রলীগ। এ দুর্যোগে ছাত্রলীগ যেভাবে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আগামী প্রজন্মের জন্য এটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গুম-খুনের কথা যারা বলে তাদের কাছে প্রশ্ন এই গুম-খুন শুরু করেছে কে? এ তো জিয়াউর রহমানই শুরু করেছে। সেনাবাহিনীর অফিসাররা ছুটিতে ছিল । তারা ছুটিতে থেকে চলে আসলে মেরে ফেলেছে তাদের পরিবার লাশও পায়নি। সাধারণ সৈনিকদের হত্যা করেছে তাদের পরিবারও লাশ পায়নি। তারা একটা চাকরিও পায়নি। মানবতার জীবন যাপন করেছে। এভাবে সারা দেশকে রক্তাক্ত করেছে শুধু ক্ষমতাকে নিষ্কন্ঠক করার জন্য। সেই একই চরিত্র দেখি খালেদা জিয়ার।
তিনি বলেন, জিয়া, খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারা এভাবেই রাজনীতি করেছে। শিক্ষা দীক্ষা তো নাই শুধু গুন্ডামি আর অত্যাচার খুনের রাজনীতি কায়েম করতে চেয়েছিল। তাদের অকর্ম ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। অগ্নি সন্ত্রাসে মানুষকে পুড়িয়ে পুড়িয়ে হত্যা করেছে তারা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চেয়েছি জাতির পিতার আদর্শে যেন দেশটাকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়া যায়। সেজন্যই আমাদের সকল প্রচেষ্টা। আমরা ক্ষমতায় আসার পর তো প্রতিশোধ নিতে যাইনি। আমরা দেশের উন্নয়নের দিকে নজর দিয়েছি। শিক্ষা দীক্ষার দিকে নজর দিয়েছি। একটা দেশকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করলে সম্মান ফিরে আসে। সেটাই দেখিয়েছি।
তিনি বলেন, যে সম্মান ভুলণ্ঠিত করেছিল ১৯৭৫ সালে জাতির পিতার হত্যার মধ্য দিয়ে আমরা সেই হত্যাকারীদের বিচার করেছি। হত্যাকারীদের বিচারের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে যে ন্যায় বিচার হয় সেটা নিশ্চিত করেছি। এখনো আসামিদের কেউ কেউ পলাতাক আছে, কিন্তু তারপরেও বিচার করেছি। হ্যাঁ এটা ঠিক ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে ইতিহাস একদিন বের হবে, এসব খবরও বেরুবে, এগুলো পাওয়া যাবে, এটা এক সময় না একময় আসবে।
জাতির পিতাকে হত্যা করে তারা ভেবেছিল নাম মুছে ফেলবে, আমাদের বিজয়ের ইতিহাস মুছে ফেলবে। লাখো শহীদের মহান ত্যাগ সেটাও মুছে ফেলবে। যে আদর্শের ওপর দেশ স্বাধীন হয়েছে সেই আদর্শটাই তার ধ্বংস করতে চেয়েছিল।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের সভাপতিত্বেও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় আলোনচনা সভায় বক্তব্যে রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান প্রমুখ।