করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আগামী বছরের আগে কোনো টিকা উদ্ভাবন সম্ভব হবে না বলে সতর্কবার্তা দিয়েছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রব।
রোববার (২৬ এপ্রিল) তিনি বলেন, চলতি বছরে কোনো টিকা ফলপ্রসূ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। যদিও ভবিষ্যতে বৈশ্বিকভাবে কয়েক দফা কোভিড-১৯ রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটলে টিকা আবিষ্কার খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।- খবর আরব নিউজের।
এই বৈশ্বিক মহামারীতে ব্রিটেনে ২০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। কাজেই ২১ এপ্রিল টিকা উদ্ভাবনের দুটি গবেষণা প্রকল্পে চার কোটি ১০ লাখ পাউন্ড খরচের ঘোষণা দেয় দেশটি।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনার ইনস্টিটিউট ও লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজ এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে। এছাড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের ওপর অন্যান্য রোগে উদ্ভাবিত চিকিৎসা প্রয়োগ করা যায় কিনা; তা যাচাই করে দেখছে ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা এনএইচএস।
‘কলড রিকভারি’ নামের ওই পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কোভিড-১৯ রোগের সুনির্দিষ্ট টিকাও অন্তর্ভুক্ত করা হবে, যখন তা উদ্ভাবিত হবে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভূত সংক্রামক রোগ ও বৈশ্বিক স্বাস্থ্য বিভাগের অধ্যাপক পেটার হরবি এই পরীক্ষা-নিরীক্ষার নেতৃত্ব দেবেন।
গত ১৭ এপ্রিল তিনি বলেন, এই পরীক্ষার মধ্য দিয়ে জাদুটোনার মতো সমাধান বেরিয়ে আসবে বলে প্রত্যাশা করা উচিত হবে না।
২০১৪ সালে পূর্ব আফ্রিকায় ইবোলা মহামারী প্রতিরোধের লড়াইয়ে কাজ করেছেন পেটার হরবি। ইবোলার টিকা আবিষ্কারে বিজ্ঞানীদের পাঁচ বছর খাটতে হয়েছে।
চলতি মাসের শুরুতে জেনার ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সারাহ গিলবার্ট আশা প্রকাশ করে বলেন, মধ্য মেতে একটি পরীক্ষায় ৫০০ লোককে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। যার সফলতার ব্যাপারে অক্সফোর্ড টিম ৮০ ভাগ আত্মবিশ্বাসী।