গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৭০ জনের। এ সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৫৬৪ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ২৩৮ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৪ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থের সংখ্যা ১৭৪ জন।
আজ শুক্রবার (০১ মে) দুপুরে দেশের কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিন অনলাইনে প্রচারিত হয়। বুলেটিনে ভিডিও কনফারেন্সে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।
তিনি জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচ হাজার ৯৫৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে পাঁচ হাজার ৫৭৩টি। সব মিলিয়ে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৭০ হাজার ২৩৯টি। নতুন যাদের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে, তাদের মধ্যে আরও ৫৭১ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ফলে মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ২৩৮ জন। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে মারা গেছেন আরও দুজন। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭০ জনে। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন আরও ১৪ জন। ফলে মোট সুস্থ হয়েছেন ১৭৪ জন।
নাসিমা সুলতানা বলেন, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করেছে দু’জন। এদের একজন ঢাকার ভিতরে ও একজন ঢাকার বাইরে। একজন পুরুষ ও একজন নারী। বয়স বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে দেখা যায়, এক জনের বয়স ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে এবং একজনের ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ১৭৫ জন। মোট আইসোলেশনে আছেন ১ হাজার ৫২২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন দুই হাজার ৩৮১ জন।
তিনি বলেন, সারাদেশে আইসোলেশন শয্যা আছে নয় হাজার ৭৩৮টি। ঢাকার ভিতরে আছে তিন হাজার ৯৪৪টি। ঢাকা সিটির বাইরে পাঁচ হাজার ৭৯৪টি শয্যা আছে। আইসিইউ সংখ্যা আছে ৩৪১টি, ডায়ালোসিস ইউনিট আছে ১০২টি।
ব্রিফিংয়ের শুরুতে তিনি করোনাভাইরাস শনাক্তকরণে যেসব প্রতিষ্ঠান বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছে, তাদের নাম উল্লেখ করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে ঘরে থাকার এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয় বুলেটিনে।