করোনাভাইরাস চীনে থেকে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়লেও দেশটিতে ক্রমেই এর সংক্রমণ কমে আসছিলো। তবে হঠাৎ করেই ভাইরাসটির তীব্রতা দেশটিতে ফের বাড়তে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে দ্বিগুণ হারে করোনায় আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (১২ এপ্রিল) দেশটির কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্যানুযায়ী সেখানে নতুন করে আরো ৯৯ জন প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। শনিবার যা ছিলো ৪৬ এবং শুক্রবার ৪২।
ধারণা করা হচ্ছে, চীনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়েছে।
গত এক মাসে দেশটিতে সর্বোচ্চ আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে। তবে আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই বিদেশি নাগরিক।
এর আগে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথমবার ধরা পড়ে নভেল করোনাভাইরাস। শুরু থেকেই ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা-কড়াকড়ি আরোপের মাধ্যমে মহামারি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এনেছিল চীন।
কিন্তু গত কয়েকদিনে বহিরাগত, বিশেষ করে রাশিয়া সীমান্তবর্তী হেইলংজিয়াং প্রদেশ দিয়ে প্রবেশকারীদের মাধ্যমে চীনে দ্বিতীয় দফায় মহামারি শুরু হচ্ছে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের তথ্যমতে, করোনার উপসর্গ নেই এমন রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ৩৪। কিন্তু রোববারের হিসাব অনুযায়ী এই সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। নতুন করে উপসর্গহীন রোগী শনাক্ত হয়েছে ৬৩ জন।
নতুন করে আক্রান্ত ৯৯ জনের মধ্যে মাত্র দু’জন স্থানীয় বাসিন্দা। বাকিরা সবাই বহিরাগত। চীনের বাণিজ্যিক শহর সাংহাইতেই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে। রোববারের তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় ওই শহরেই আক্রান্তের সংখ্যা ৫২।
এদিকে, চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় হেইলংজিয়াং প্রদেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ২১ জন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮২ হাজার ৫২। অপরদিকে এখন পর্যন্ত প্রাণহানি ঘটেছে ৩ হাজার ৩৩৯ জনের।