ডিবিএন ডেস্কঃ আজ রোববার (২৭ জুন) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সাংবাদিকদের বলেন, সময়মতো বিদ্যুৎ উৎপাদনে না আসায় কয়লাভিত্তিক ১০টি বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এছাড়া, নেপাল ও ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি করার লক্ষ্যে আগামী মাসে চূড়ান্ত চুক্তি সই হবে বলেও জানান তিনি।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যেগুলো সময়মতো উৎপাদনে আসতে পারেনি সেগুলো বাদ দেওয়ার।
বাতিল করা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো হলো- পটুয়াখালী ২×৬৬০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, উত্তরবঙ্গ ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট সুপার থারমাল পাওয়ার প্ল্যান্ট, মাওয়া ৫২২ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, ঢাকা ২৮২ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, চট্টগ্রাম ২৮২ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প।
এছাড়া খুলনা ৫৬৫ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মহেশখালী ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মহেশখালী ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ৭০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও সিপিজিসিবিএল-সুমিতোমো ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প।
পাওয়ার প্লান্টগুলো বাদ দেয়ার ফলে বিদ্যুতের ঘাটতি হবে না বলে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, ভবিষ্যতে কোনো অঞ্চলে কী পরিমাণ বিদ্যুৎ লাগবে, তার ওপর ভিত্তি করে ভবিষ্যত পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে। আমাদের হাতে যে পরিমাণ পাওয়ার প্লান্ট আছে এবং আগামীতে যে পরিমাণ আমরা পাব, এতে দেখা যাচ্ছে আমাদের প্রায় ১৩ হাজার মেগাওয়াট পাওয়ার প্লান্ট আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে অতিরিক্ত থাকবে। সুতরাং আমাদের এখানে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না।
প্রতি ৫ বছর পর পর বিদ্যুতের বিষয়ে ২০১০ সালে নেয়া মাস্টারপ্লান পর্যায়ক্রমে রিভিউ করা হয় জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেড় বছর ধরে কোভিড পরিস্থিতির কারণে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি ও বিদ্যুতের ক্ষেত্রে বিরাট পরিবর্তন আসছে। নতুন টেকনোলজি, নতুন সম্ভাবনা এবং জ্বালানির দাম ওঠা-নামায় নতুনভাবে চিন্তা করার বিষয় চলে আসছে। সব থেকে বড় বিষয় বাংলাদেশের যে ডেভেলপমেন্ট হতে যাচ্ছে এবং যে ধারা আমরা বজায় রাখতে চায়, এ বিষয়ে আমাদের চিন্তা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সর্বপ্রথম যে চালিকা শক্তিটা ইকোনমিক ডেভেলপমেন্টের মধ্যে কাজ করে, তা হলো বিদ্যুৎ ও জ্বালানি। একে যদি আমরা সাশ্রয়ী ও নিরবিচ্ছন্ন রাখতে চায়, তাহলে আমাদেরকে বিশ্বের জ্বালানি, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও টেকনোলজির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চলতে হবে।