জাহির হোসাইন:
লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর থানার চরফলকন গ্রামের বেশিরভাগ এলাকা চলে গেছে নদীগর্ভে।চর যোগ বন্ধু উনিয়নের কোনো চিহ্ন ও নেই।ভাঙ্গনের আশঙ্কায় আছে চর লরেন্স।নদীর তীব্র ভাঙ্গনে ভিটেমাটি হারিয়েছে হাজার হাজার এলাকাবাসী।সর্বশান্ত হয়েছে হাজার হাজার গ্রামবাসী দয়ামায়াহীন নদীর আগ্রাসী ছোবলে।কথায় আছে নদীর একুল ভএঙে ওকুল গড়ে এইতো নদীর খেলা, সকালবেলার আমিররে তুই পকির সন্ধ্যা বেলা।এই জায়গার নদী ভাঙ্গন এতে তীব্র যে কারো গা শিউরে উঠবে।
দীর্গদিন ধরে নদী ভাঙতেছিলো হঠাৎ করে ভাঙ্গনের তীব্রতা বেড়ে যায়।কমলনগর থানার ৩ গ্রামের ২টি গ্রাম ভেঙ্গে শেষ।চর ফলকন গ্রামের অনেক পুরাতন একটু বাজার হলো লুধুয়া বাজার।লুধুয়া পুরান বাজার অনেক আগেই ভেঙ্গে নদীতে বিলীন হয়েগেছে।অবশিষ্ট আছে লুধুয়া নতুন বাজার।এই বাজারটি ও যেকোনো সময় গিলেফেলতে পারে আগ্রাসী নদী।
স্থানীয় বাসিন্দা নাম “ইউসুফ” জনৈকের সাথে কথা বলে জানাযায় গত কয়দিন পূর্বে লুধুয়া মসজিদটি চোখের ফলকে নদীতে ভেঙে যায়।চরফলকন সরকারি প্রাথমিক দ্বিতল ভবনটি নির্মাণ করা হয় ২০০৫-২০০৬ ইং সালে।
১৯৫২ ইং সালে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়।অনেক পুরাতন বিদ্যালয়টি ও শেষ হয়েগেলো চোখের পলকে।নদীর আগ্রাসী ভাঙ্গনে কমলনগর থানার ৩ টি উনিয়নের মধ্যে চরজগবন্ধু ইউনিয়ন অনেক আগেই গ্রাস করেনিয়েছে সর্বনাশা নদী।চর ফলকন ভেঙে অনেক পূর্বের দিকে লুধুয়া নতুন বাজার পর্যন্ত চলে এসেছে।চরফলকন দ্বিতল একটি ভবন শের-এ বাংলা একে ফজলুল হক ভবনটি নির্মাণ করা হয় ২০১৪ ইং সালে সেই ভবনটির অর্ধেক ভেঙে ঝুলে আছে যে কোনো মুহর্তে বাকি অংশ টুক ও যে কোনো মুহূর্তে ধসে যেতে পারে।ভাঙ্গনের পথে আছে চর লরেঞ্চ।এখনই যদি সঠিক বেবস্থা নেওয়া না হয় তাহলে কমলনগরের অনেক গ্রাম ইউনিয়ন নদী গর্ভে চলে যেতে পারে।টো-২০-২৫ মাইল নদী গ্রাস করেনিয়েছে এতে ভিটেমাটি হারা হয়েছে হাজার হাজার গ্রামবাসী।যাদের মধ্যে যে যার মতো করে বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। কেহ আত্মীয় স্বজনদের কাছে গেছে, কেহ কাহারো জমি ভাড়া নিয়ে কোনোরকম থাকতেছে, আবার কারো কারো ঠিকানা হয়েছে রাস্তার আসে পাশের পতিত জমিতে।
স্থানীয় জনগণ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতিতে আজ আমরা ভিটেমাটি হারা।নদী ভাঙ্গন রোধে তাদের যথেষ্ট গাফিলতি ছিল।তারা যদি সময় মতো নদীরক্ষা বাঁধ মজবুত করে দিতো তাহলে আজ আমাদের এমন পরিণতি হতো না।বর্তমান এমপি জনাব মান্নান সাব নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিয়ে সেখানে নদী ভাঙ্গন ঠেকানোর জন্য বেবস্তা নিয়েছেন।সরোজমিনে সেখানে দিনরাত পালা করে জিও ব্যাগ সোহো নানা উপকরণের মাধ্যমে নদী ভাঙ্গন ঠেকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।স্থানীয় জনগণের দাবি যত দ্রুত সম্ভব সরকার , এমপি মহোদয় ও পানি উন্নয়নবোর্ড যেন স্থায়ী ভাবে নদী ভাঙ্গন রোধে দ্রুত বেবস্তা নেয়।