তিমির বনিক, মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারে কমলগঞ্জে উপজেলার পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের কিলঘুষিতে মাটিতে পড়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এক ব্যক্তি মারা যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।
সোমবার (২১ জুন) বেলা সোয়া ১২টায় কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর-কমলগঞ্জ সড়কের রাফসান ফুডের সামনে হামলায় শমশেরনগর ইউপি শিংরাউলী গ্রামের মৃত তজমুল আলীর ছেলে জুয়েল আহমেদ (৪৫) নিহত হন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শমশেরনগর বাজারের সিএনজি চালক আহাদ মিয়ার পরিবারের সাথে একই এলাকার মুকুল মিয়ার পরিবারের পূর্ব বিরোধ ছিল। এ বিরোধের জের ধরে আহাদ মিয়ার সদ্য বিদেশ ফেরত ছেলে মুন্না মিয়া ও তার আত্মীয় তুরন মিয়ার নেতৃত্বে একদল যুবক এসে মুকুল মিয়ার ছেলে বাপ্পাকে মারধোর করে। এ নিয়ে দু’পক্ষের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জুয়েল আহমেদ ও সাবেক ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন ও আব্দুল মোহিত সন্ধ্যায় সামাজিকভাবে বসে এ ঘটনার সমাধানের আশ্বাস দেন। এতে প্রাথমিকভাবে উত্তেজনা নিরসন হয়।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরে বেলা সোয়া ১২টায় শমশেরনগর চৌমুহনা সিএনজি অটো চালক সমিতির দু’জন চালকের সাথে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। পরে প্রতিপক্ষের কিল ঘুষিতে মাটিতে পড়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে জুয়েল আহমেদ মারা যান। এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে দ্রুত কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক মুন্না সিনহা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে কমলগঞ্জ থানা পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
নিহতের চাচাতো ভাই সোহেল আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। সিএনজি অটো চালক মুন্না মিয়া ও তুরণ মিয়াসহ একটি সংঘবদ্ধ দল সকালে প্রথম দফা জুয়েলের বন্ধুর ছেলে বাপ্পাকে মারপিট করে। পরবর্তীতে আবার তারা সিএনজি চালক শারফিন মিয়ার নেতৃত্বে তর্কবিতর্ক শুরু করে জুয়েলকে কিল ঘুষি মারলে সে ঘটনাস্থলেই পড়ে মারা যায়। এ ঘটনায় তারা কমলগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করবেন বলে জানান।
শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মোশারফ হোসেন বলেন, ঘটনার পর ঘটনাস্থলের একটি দোকানের সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত করা হচ্ছে। সিসি টিভি ফুটেজ দেখে মানুষজনকে এনে জিজ্ঞাসাবাদের কার্যকক্রম শুরু হয়েছে। মামলা হলে এ ফুটেজ দেখে প্রকৃত আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।