জোবায়ের আহমেদ, বগুড়া: প্রথম সন্তান মেয়ে। এবার একটি ছেলে সন্তান হবে এই আশা পূরণ না হওয়ার ১৪ মাসের ২য় কন্যা সন্তানকে নিজ হাতে হত্যা করে বাড়ির পাশে ডোবার কাদার ভিতরে পুতে রাখলেন বাবা। এ যেন প্রাচীন যুগের বর্বরতার পুনরাবৃত্তি। ঘটনাটি ঘটে বগুড়া শেরপুর উপজেলার কুসুম্বি ইউনিয়নের উচলবাড়িয়া গ্রামে।
জানা যায় গত ২৬ সেপ্টেম্বর (সোমবার) মধ্যরাতে ধাতক বাবা জাকির হোসেন তার দ্বিতীয় মেয়ে হুমায়রা কে ঘুমন্ত অবস্থায় বিছানা থেকে উঠিয়ে নিয়ে ডোবার পানিতে ফেলে হত্যা করে। এরপর ওই ডোবার পানিতে পুতে রাখে। রাত্রিতে জাকিরের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন ঘুম থেকে জেগে তার শিশু কন্যাকে বিছানায় না পেয়ে তার স্বামীকে জিজ্ঞেস করলে সে উল্টাপাল্টা উত্তর দিতে থাকে। এর আগে ওইদিন সন্ধ্যায় রাবেয়ার সাথে তার স্বামী জাকিরের দ্বিতীয় মেয়ের বিষয়ে ঝগড়া হয়। তাই রাবেয়া আত্নীয়স্বজনদের তাৎক্ষণিক খবর দিলে তারা খোজ করতে থাকে বাচ্চাটির।
এর এক পর্যায়ে জাকির স্বীকার করে যে, সে তার শিশু কন্যাকে রাতের বেলা ডোবায় ফেলে দিয়েছে। এই সংবাদের ভিত্তিতে তার আত্নীয়-প্রতিবেশি পরদিন সকাল বেলা শিশু হুমায়রার লাশ উদ্ধার করে ডোবার পানি থেকে।
এই ঘটনায় এলাকাবাসী জাকিরকে ধরে বেঁধে রাখে এবং থানায় সংবাদ পাঠালে তাৎক্ষণিক সেখানে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে এবং জাকিরকে গ্রেফতার করে।
এবিষয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খোন্দকার বলেন, খবর পেয়েই সেখানে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) হাসানকে ফোর্স সহ পাঠানো হয়েছে।
উপপরিদর্শক (এসআই) হাসান জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং জাকির নিজের দোষ স্বীকার করে নেয়ায় তাকে তাৎক্ষণিক গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে এসে আইনি প্রকৃয়া শেষে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।