কঠিন কোনো শর্ত মেনে আইএমএফের কাছ থেকে বাংলাদেশ ঋণ নেবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ বুধবার (৯ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
সরকার আইএমএফের কাছে ঋণ চেয়েছে, তারা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করেছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্ব সংকট এখন আমাদের জাতীয় জীবনে, বিশেষ করে অর্থনৈতিক সংকট, ডলার সংকট, রিজার্ভে চাপ পড়েছে। দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। ব্রিটেনের মতো দেশে জীবনযাত্রার ব্যয় ৮০ শতাংশ বেড়েছে। ১০ দশমিক ১ শতাংশ মূল্যস্ফীতি। সেখানে আমাদের মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ১ ছিল, সর্বশেষ এটি ৮ দশমিক ৯ শতাংশ, কিছুটা কমেছে। আমাদের এখানে দ্রব্যমূল্যের বাড়ার গতিটা একটু কমেছে। আশা করছি, আস্তে আস্তে স্বস্তিদায়ক হবে। শান্তি কথাটা আমরা মুখে যতটা বলি, বাস্তবে ততটাই কঠিন।
মন্ত্রী বলেন, আইএমএফর প্রতিনিধি দল দুই সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশে অবস্থান করছে এবং তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। যেটা যৌক্তিক সেটাই হবে। এই মুহূর্তে টাকা নিতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই। অর্থ আমরা নেব তবে কঠিন শর্তে নয়।
কঠিন শর্ত কী-তা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, অ্যাপ্লাই ইয়োর কমনসেন্স। কঠিন শর্ত যেটা লাগবে, সেটা দিয়ে কেন? আপনি একজন সাধারণ মানুষ, আপনি বুঝেন যে শর্তটা কী? আইএমএফের অতীতের ব্যাপারেও আমরা জানি। আইএমএফের শর্তগুলো কী হতে পারে, কোন শর্তটা মানলে দেশের আরও ক্ষতি হতে পারে, এমন শর্ত আমরা মানব না। আর টাকা পাচারের বিষয়টি আলোচনায় আসছে। এ বিষয়ে সরকার কী পদক্ষেপ নেবে- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সরকার এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছে। খতিয়ে দেখছে। যেটা বলা হচ্ছে, তা কতটা সত্য ও বাস্তব। পাচার করলে কোথায় করা হয়েছে। খোঁজখবর নিয়েই বলা যাবে।