দুর্দান্ত সূচনা করলো বাংলাদেশ। ব্যাটিং-বোলিংয়ে অসাধারণ নৈপুণ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পাত্তাই দিলো না মাশরাফীর দল। ডাবলিনে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ক্যারিবিয়ানদের ৮ উইকেটে হারিয়েছে টাইগাররা। আগে ব্যাট কোরে শেই হোপের সেঞ্চুরিতে ২৬১ রান করে উইন্ডিজ। জবাবে সৌম্য-তামিম ও সাকিবের ফিফটিতে, ৩০ বল বাকি থাকতে দারুণ জয় পায় বাংলাদেশ।
সঙ্গী বদল হয়ে সুনীল আমব্রিস নামলেন শেই হোপের সঙ্গে। ক্যারিবিয়ানদের শুরুটাও হলো ভালো। প্রথম ১০ ওভারে আসলো ৪৮ রান।
তবে সাকিব-মিরাজ আক্রমণে এসেই টেনে ধরেন ক্যারিবিয়ানদের রান তোলার গতি। নিজের প্রথম ওভারেই দলকে ব্রেক থ্রু দিলেন মিরাজ। আমব্রিস ফিরলেন ৩৮ রানে। প্রস্তুতি ম্যাচের মতই কিপ্টে বোলিং করে চাপ সৃষ্টি করে উইকেটও তুলে নিলেন সাকিব।
দারুণ ফর্মে থাকা হোপ ক্যারিবিয়ানদের হয়ে গড়েন অনন্য এক রেকর্ড। মাত্র ৪৭ ইনিংসে ছুঁয়ে ফেলেন ২ হাজার রানের মাইলফলক। পেছনে ফেলেন কিংবদন্তী ভিভ রিচার্ডসকে।
চেজ-হোপের জুটি তখন মাথাব্যথার কারণ। বাংলাদেশের বিপক্ষে টানা তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন হোপ, আর চেজ স্পর্শ করেন ফিফটির ল্যান্ডমার্ক। এমন সময় ব্রেক থ্রু এনে দেয়ার দায়িত্বটা নিলেন টাইগার দলপতি। তৃতীয় উইকেটে ১১৫ রানের জুটি ভাঙ্গার সঙ্গে, মাত্র ৫ বলের ব্যবধানে ফেরালেন শেই হোপ, চেজ ও হোল্ডারকে। সেই ধাক্কায় স্লগ ওভারে আর কেউই ভালো করতে পারেননি। শেষ ১০ ওভারে ক্যারিবিয়ানরা পেলো ৬৪। স্কোর বোর্ডে মোট সংগ্রহ ২৬১ রান। নির্বিষ কাটারে খরুচে মোস্তাফিজ ১০ ওভারে দেন ৮৪ রান।
যা আয়ারল্যান্ডের মাটিতে যে কোনো উইকেটে সর্বোচ্চ জুটি তো বটেই। তামিম-সৌম্য পেছনে ফেলেছেন বিদেশের মাটিতে ২১ বছর টিকে থাকা, ওপেনিংয়ে আতাহার আলী ও মোহাম্মদ রফিকের ১৩৭ রানের জুটিকেও।
সৌম্য নিজের মতই খেলেছেন। একবার জীবন পেলেও, সেঞ্চুরি না পাবার আক্ষেপ নিয়ে ৬৮ বলে ৭৩ রানে ফিরে যান। তামিম কিছুটা ধীরলয়ে খেললেও, পেয়েছেন ৪৫তম ফিফটি। তবে সেটা শতকে নিতে পারেন নি। আউট হন ৮০ রানে।
বাকি কাজটুকু মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে সেরেছেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সাকিব। প্রস্তুতি ম্যাচেরই ধারাবাহিকতায় তুলে নিয়েছেন দারুণ ফিফটি। বিশ্বকাপ প্রস্তুতি পর্বের প্রথম ধাপ বাংলাদেশ শুরু করে ৮ উইকেটের বড় জয় দিয়ে।