মৌলভীবাজার শহরের ঐতিহ্যবাহী দু’শত বছরের পুরাতন কালী মন্দির নির্মাণ বিষয়ে পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জে এল ভৌমিক বলেন, মৌলভীবাজার শহরের পুরাতন কালী মন্দিরের বিষয় নিয়ে আমি ট্রাস্টের সাথে কথা বলবো। তিনি আরোও বলেন আমি সবকিছু জানি। আমি এ বিষয়টি দেখছি আর পূজা উদযাপন পরিষদ কখনও কোন অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার বলেন, মৌলভীবাজার শহরের পুরাতন কালীমন্দির বিষয়ে সমস্যাটি শুনেছি।বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয়কে অনুরোধ করেছি।যেহেতু কালী মন্দির সরকারের অর্থায়নে হচ্ছে বিষয়টি খুবই গুরুত্ব দিয়ে তিনি দেখবেন।
আরেকটি কথা হলো যেহেতু সরকারের অর্থায়নে হচ্ছে, সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী করতে হবে। তা নাহলে ট্রাস্ট সিদ্ধান্ত নিবে। তিনি আরোও বলেন, এখানে কালী মন্দির কমিটির অনিয়মের সাথে জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের কেউ জড়িত থাকলে তা খতিয়ে দেখবো।
উল্লেখ্য” মৌলভীবাজার জেলা শহরের পুরাতন কালীবাড়ি মন্দির প্রায় ২০০ বছরের ঐতিহ্য বহন করে আসছে। এই মন্দিরের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল কয়েক মাস ধরে, নির্মাণ সূচনা লগ্নে ইঞ্জিনিয়ারিং ত্রুটি দেখা যায়। সে কারণে কমিটির নির্মাতারা উদাসীন থাকায় নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহার দেখে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতা শ্রী সুব্রত সরকার রাজ উপজেলা প্রশাসন এর হস্তক্ষেপে কাজ বন্ধ করেন এবং তদন্ত কমিটি প্রশাসনিক নির্দেশ মোতাবেক ছাদ ঢালাই ভেঙ্গে পুনরায় ছাদ নির্মিত হয়।