নেতৃত্বহীনতার কারণেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টের ভরাডুবি হয়েছে। তারা অত্যন্ত অগোছালোভাবে নির্বাচনে এসেছিল বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। মঙ্গলবার দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে নতুন বছর উপলক্ষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে তিনি এসব কথা বলেন। মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্ট অত্যন্ত অগোছালোভাবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। তাদের জোট ছিল নেতৃত্বহীন, মাথাবিহীন। তাদের নেতৃত্বের মধ্যে কোনো সমন্বয় ছিল না। তাই নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টের এত বড় পরাজয় হয়েছে।’ তিনি বলেন, খেলার মাঠে যদি শক্তিশালী ও দক্ষ সেনাপতি না থাকে তাহলে সে দল জয়লাভ করতে পারে না। ঐক্যফ্রন্টের অবস্থাও ছিল সে রকম। একেক সময়ে একেকজন নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাদের মধ্যে কোনো সমন্বয় ছিল না। তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বিগত বছরের তুলনায় সফলভাবে প্রচারণা চালিয়েছে। কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত নেতাকর্মীরা দিনরাত প্রচারণা চালিয়েছে। আমরা নির্বাচনকে হালকাভাবে নেইনি। যে কারণে আমাদের বড় বিজয় হয়েছে। ঐক্যফ্রন্টের আন্দোলনের প্রস্তুতির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জাবাবে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ঐক্যফ্রন্টের নেতারা একেক সময়ে একেক কথা বলেছেন। তারা বলেছেন, কেন্দ্র পাহারা দিতে। কিন্তু তাদের কোনো কর্মী মাঠে ছিল না। নির্বাচন হয়ে গেছে এখন আর আন্দোলন করে কোনো লাভ নেই। এখন তাদের উচিত মাথা ঠাণ্ডা রেখে টিম ওয়ার্ক করা। অতীতের ভুল থেকে শিক্ষাগ্রহণ করা। ‘নির্বাচনে ভোট কারচুপির হয়েছে’ ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আসা পর্যবেক্ষকরা বলেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। শুধুমাত্র বিএনপির নেতারাই এই ধরনের অভিযোগ করছে। আসলে যারা এই ধরনের কথা বলছে, তারা অহেতুক কথা বলেছে। অভিযোগ করা তাদের একটা স্বভাব হয়ে গেছে। তিনি বলেন, এসব অভিযোগ না করে বিএনপির এখন আত্মসমালোচনা করা উচিত। নিজেরা বসে কাজ করা উচিত। আওয়ামী লীগও তো অনেক দুর্যোগ মোকাবেলা করেছে। এ সময়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডের চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে মোহাম্মদ নাসিম নিজ দফতরে পৌঁছালে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সিরাজগঞ্জ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এ সময়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সচিব জিএম সালেহ উদ্দিন, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী আ খ ম মুহিউল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক কাজী মোস্তফা সারোওয়ার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।