প্রতিদিনই কোন না কোন ঘটনা ঘটছে দেশে। আর কিছু ঘটলেই গণমাধ্যমে শুরু হয় প্রচারনা। কিছু মানূষ রয়েছে সুযোগ পেলেই সরকার পতনের দাবী তোলেন। গণমাধ্যমের প্রচারনা দেখে মন্তব্য করেন যে যার মত করে। শোসাল মিডায়াতে মানূষের মন্তব্য পড়ে মনে হয় দেশ ধংস হয়ে গেছে।
সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের পুত্র কমিশনার এমরান সেলিম একজন নৌবাহিনীর সদস্যকে অন্যায়ভাবে প্রহার করেছে। এই সংবাদ শোসাল মিডিয়াতে প্রচার হয়েছে সাথে সাথেই। যে কোন মানূষের সংগেই এহেন আচরন যঘন্য অপরাধ। হাজী সেলিমরা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে রেখেছে। সরকার কোনরকম ছাড় দেয়নি, হাজী সেলিম চেষ্টা করেও কোন নেতার সাহায্য পায়নি। তাৎক্ষনিক বিচারে এমরান সেলিমের এক বছরের জেল হয়েছে। আরও তদন্ত চলছে। অথচ এই ঘটনাকে পুঁজি করে কিছু নেতা সরকারের পতন দাবী করছে। কেউ কেউ মধ্যবর্তী নির্বাচনও চাচ্ছে। তারা দাবী করছে শেখ হাসিনা ভারতের কাছে দেশ বিক্রি করে দিয়েছে। অথচ ভারতের গণমাধ্যমে প্রচার হচ্ছে বাংলাদেশ সব দিক থেকেই ভারতকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেছে। ভারতের বিশ্লেষকরা মোদি সরকারের প্রতি আঙ্গুল তুলেছেন এই ব্যর্থতার জন্য। যদি দেশকে ভারতের কাছে বিক্রি করে দিয়ে থাকে তাহলে, বাংলাদেশ এগিয়ে গেল কিভাবে? ভারত যদি বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রন করে থাকে তাহলে, ভারতের গণমাধ্যমে পাকিস্তানের মত বাংলাদেশ নিয়ে এত উৎকন্ঠা কেন? আই এম এফ এর রিপোর্ট সত্যি হলে বাংলাদেশের নেতাদের বক্তব্যের সত্যতা কতটুকু?
পৃথিবীর সব দেশেই দুর্ঘটনা ঘটে, অপরাধ সংগঠিত হয় কিন্তু, সব ঘটনাকেই সরকারের উপর চাপিয়ে সরকার পতনের আন্দোলন করেনা কেউ। এমেরিকার নির্বাচনেও করোনার ব্যর্থতার কথা জেনেও ৬০% শতাংশ মানূষ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পক্ষে মত দিয়েছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ভাবে এখন স্ববল প্রমান করেছে। বিশ্বব্যপি করোনার বিপর্যয়েও বাংলাদেশের অর্থনীতি দুর্বল করতে পারেনি। উন্নয়নের পাশাপাশি এটাই ছিল যোগ্য সরকারের কাছে প্রত্যাশিত। যারা এই দাবী নিয়ে প্রতিদিন বক্তব্য দিচ্ছেন তাদের যোগ্যতা দেশবাসী দেখেছে। দলগতভাবেও এরা কেউ সংগঠিত নয়। নিজেদের কোন বাস্তব পরিকল্পনাও জণগনের কাছে উপস্থাপন করেতে পারেননি এই নেতারা। তাহলে রোজ এই পদত্যগ আর নির্বাচনের দাবী করছেন কোন ভরসায়? দেশের মানূষকি চোখ কান বন্ধ করে রেখেছে ভাবেন নেতারা?
আজিজুর রহমান প্রিন্স
টরন্টো, কানাডা
২৭ অক্টোবর ২০২০।