এ বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা মোট ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯১৯টি খাতা চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করেছেন ।
এর মধ্যে শুধু এসএসসির ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৮৯৮টি, দাখিলের ২৮ হাজার ৪৮৪টি এবং এসএসসি ভোকেশনালের ১৭ হাজার ৫৩৭ টি খাতা পুনর্নিরীক্ষার আবেদন করা হয়েছে। রবিবার ফল পুনর্নিরীক্ষার আবেদনের সুযোগ শেষ হয়।
গত ৩১ মে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। যারা প্রত্যাশিত ফল পাননি তারা গত ১ জুন থেকে ৭ জুন পর্যন্ত ফল পুনর্নিরীক্ষার আবেদন করার সুযোগ পান।
সূত্রে জানা গেছে, পুনর্নিরীক্ষার আবেদন করা শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লাখ ৩৮ হাজার ৪৭১ জন। এর মধ্যে ঢাকা বোর্ডের ৫৭ হাজার ৭৯০ জন পরীক্ষার্থী ১ লাখ ৪৬ হাজার ২৬০ টি খাতা পুনর্নিরীক্ষার আবেদন করেছেন।
এছাড়া বরিশাল বোর্ডে ২৩ হাজার ৮৫০ টি খাতা, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৫২ হাজার ২৪৬ টি খাতা, কুমিল্লা বোর্ডে ৩৯ হাজার ৩০৩টি খাতা, দিনাজপুর বোর্ডে ৪০ হাজার ৭৫টি খাতা, যশোর বোর্ডে ৩৪ হাজার ২৮৫টি খাতা, ময়মনসিংহ বোর্ডে ৩১ হাজার ৩৩১ টি খাতা, রাজশাহী বোর্ডে ৪৪ হাজার ৬১টি খাতা এবং সিলেট বোর্ডে ২৩ হাজার ৭৯০টি খাতা পুনর্নিরীক্ষার আবেদন করা হয়েছে।
তবে খাতা চ্যালেঞ্জ করার মানে এই নয় যে, খাতাগুলো নতুন করে মূল্যায়ন করা হবে। বাস্তবে খাতাগুলোর নম্বর গণনা ঠিক আছে কিনা, তা দেখা হবে। প্রতিবছর শত শত পরীক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়। কেউ ফেল করা থেকে জিপিএ ফাইভও পেয়ে থাকেন।
গত ৩১ মে ২০২০ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হয়। এতে গড় পাস করেছে ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ শিক্ষার্থী। গত বছর এই পাসের হার ছিল ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ।