দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর জমে উঠেছে বগুড়ার শেরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচারণা। দলীয় প্রতীক না থাকায় নির্বাচনকে ঘিরে অধিকাংশ নেতাকর্মীদের চলছে গণসংযোগ। অনেকে সোসাল মিডিয়া সহ রাস্তায় রাস্তায় দিয়েছেন পোস্টার। সকাল-সন্ধ্যা সভা, জনগনের সাথে কুশল বিনিময় সহ হাট-বাজারে গনসংযোগে মেতে আছেন সম্ভব্য প্রার্থীরা।
গণসংযোগ চলাকালে কথা হয় শেরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও বর্তমানে উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদের সঙ্গে। তিনি বলেন, শেরপুর উপজেলায় জনগনের সেবক হিসেবে মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ চাই। আমি একজন নবীন রাজনীতিবিদ ও আমার রাজনৈতিক গুরু একজন প্রবীন রাজনীতিবিদ। আর তিনি হলেন বর্তমান বগুড়া-৫ আসনের এমপি ও বগুড়া জেলা আ.লীগের সভাপতি আলহাজ¦ মজিবর রহমান মজনু। তাঁর হাত ধরে কাজ করতে চাই। নবীন-প্রবীনের সমন্নয়নে আগামী উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে আপনাদের হাতে হাত রেখে একসঙ্গে কাজ করতে চাই।’
তিনি যুবসমাজের সম্ভাবনা নিয়ে বলেন, বর্তমানে সমাজের অধিকাংশ যুবক মাদক ও জুয়ার মত মরণ নেশায় মেতেছে। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে উপজেলার ক্রীড়া উন্নয়নের মাধ্যমে যুব সমাজকে মাদক, সন্ত্রাস, জুয়ার মত কাজ থেকে ফিরিয়ে আনবো। সবাই এক সাথে কাজ করলে সমাজ পরিবর্তন হবে। আমাদের সমাজ গঠন হবে। দেশে শান্তি বিরাজ করবে।
সুুলতান মাহমুদ ১৯৭৫ সালে সুঘাট ইউনিয়নের সাতারা গ্রামে এক সম্ভান্ত্র মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মৃত এস এম শাহজাহান। ছাত্র জীবনে তিনি ১৯৯৩ সাল থেকে ১৯৯৭ সালে পর্যন্ত উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ১৯৯৮ সালে বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সদস্য হন। ২০০৪ সালে শেরপুর উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ২০২১ সালে উপজেলা আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও ২০২২ সালে উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছেন সুলতান মাহমুুদ।
আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ৯:৫৮ | শুক্রবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি