বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে যুক্তরাষ্ট্র। সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার নতুন করে চার দেশের একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।
ওয়াশিংটন এবং তেহরানের মধ্যে বন্দি বিনিময় ইস্যুতে সম্পর্ক উন্নয়নের মাঝেই ফের ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ এবং দেশটির গোয়েন্দা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। একদিন না যেতেই তেহরানের ড্রোন ব্যবহার ও সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করার অভিযোগে ইরানসহ তিন দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ওয়াশিংটন। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে। এর আগের নিষেধাজ্ঞাটি স্থানীয় সময় সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওই সাত ব্যক্তি ও চার প্রতিষ্ঠান ইরানের এয়ারক্রাফ্ট ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোম্পানির চালান ও লেনদেনে সহায়তা করেছে। একই সঙ্গে তারা দেশটির ড্রোন ও সামরিক বিমান নির্মাণের প্রচেষ্টায় সহায়তা করেছে।
মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের টেরোরিজম অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্সের আন্ডার সেক্রেটারি ব্রায়ান নেলসন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইরান যেভাবে ড্রোন নির্মাণের তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে, তাতে রাশিয়া, তাদের মধ্যপ্রাচ্যের মিত্রদেশ এবং অন্য অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারীরা আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা ক্ষুণ্ন করতে পারে। ইরানের এ ধরনের ড্রোন তৈরির তৎপরতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র।
এর আগে ইরানের কাছে ড্রোনে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ বিক্রি ও সরবরাহের অভিযোগে চীনভিত্তিক পাঁচটি প্রতিষ্ঠান ও এক ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল ওয়াশিংটন।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম