এবার দেশে করোনা প্রতিরোধক ডিভাইস (কীট) তৈরি হচ্ছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) এবং শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের শিক্ষকদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে। এই ডিভাইসের নামকরণ করা হয়েছে কোভিক (করোনা ভাইরাস কিলিং) কীট।
শনিবার (১৩ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এই কীটের অন্যতম আবিষ্কারক ড. রেহানা পারভীন।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বায়োমেডিকেল প্রকৌশল বিভাগ থেকে এরইমধ্যে ব্যবহার উপযোগী হিসেবে ছাড়পত্র পেয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ড. রেহানা পারভীন।
বর্তমানে এটি বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্স কাউন্সিলের (বিএমআরসি) চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের নিউরোমেডিসিন বিভাগের রেজিস্ট্রার ডা. এইচ এম মাসুম বিল্লাহ্ এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. রেহানা পারভীনের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে এই কীট।
করোনা প্রতিরোধী কীট তৈরি প্রজেক্টের প্রধান পরিদর্শক (পিআই) ডা. এইচ. এম মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘ডিভাইস তৈরির কাজ এরইমধ্যে শেষ হয়েছে। বিএমআরসি’র অনুমোদন পেলে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হবে। বর্তমানে কিছু দাপ্তরিক জটিলতা ও সীমাবদ্ধতার কারণে অনুমোদন পেতে দেরি হচ্ছে। তবে বিএমআরসি সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে খুব শীঘ্রই ডিভাইসটির অনুমোদন দেবে বলে আশা করছি।’
এ বিষয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. রেহানা পারভীন বলেন, ‘মূলত মানুষের নিঃশ্বাসে মাধ্যমে করোনাভাইরাস বাতাসে ছড়ায় যা পরবর্তীতে সুস্থ ব্যক্তিকে আক্রান্ত করে। করোনা প্রতিরোধী এই কীটের মাধ্যমে আক্রান্ত মানুষের নিঃশ্বাস থেকে নির্গত কার্বন ডাই অক্সাইড পুরোপুরি করোনাভাইরাস মুক্ত হয়ে পরিবেশে যাবে। এই ডিভাইসের সুবিধা হচ্ছে এটি ব্যবহারের ফলে তার দ্বারা অন্য কেউ সংক্রমিত হওয়ার সুযোগ থাকবে না।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন এ ব্যাপারে বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। আমি বিষয়টি নিয়ে নিয়মিত খোঁজ নিচ্ছি। এটি চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে বর্তমান পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমি মনে করি।’