গতকাল শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) টুইটার কর্তৃপক্ষ আরও বেশি সহিংসতার উস্কানি দেয়ার ‘আশঙ্কা’ থেকে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্টটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়ার পর টুইটারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, “আমি এবং আমার সমর্থকরা চুপ থাকব না। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের নিজস্ব প্লাটফর্ম তৈরি করা উচিত এবং আমরা শিগগিরই এই ঘোষণা নিয়ে হাজির হব।”
এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ৮ কোটি ৮০ লাখ ফলোয়ারধারী অ্যাকাউন্ট বন্ধের বিষয়ে তীব্র নিন্দা জানান। তার রিয়াল ডোনাল্ড ট্রাম্প অ্যাকাউন্ট (@realDonaldTrump account) বন্ধ করে দেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট অফিসিয়াল’- পটাস (US president’s official @Potus) থেকে একটি পোস্টের মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানান।
ট্রাম্প তার প্রতিক্রিয়ায় জানান, আমাদের কণ্ঠরোধ করতে আরও একধাপ এগিয়ে গেল টুইটার। টুইটার সংশ্লিষ্টরা ডেমোক্র্যাট এবং বামপন্থিদের যোগসাজশে এ কাজ করছে। কিন্তু আমরা একদমই চুপ থাকব না। স্বাধীন মতপ্রকাশের জন্য টুইটার এখন সঠিক প্লাটফর্ম নয়। তারা এখন এমন অবস্থানে রয়েছেন, যেখানে দুষ্টু লোকেরা নির্দ্বিধায় কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে।
অন্যদিকে টুইটার কর্তৃপক্ষ ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট বন্ধের বিষয়ে জানিয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা সাম্প্রতিক পোস্টগুলো গভীরভাবে পর্যবেক্ষণের পর স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে তার অ্যাকাউন্টটি। ফের দাঙ্গায় উস্কানি দেয়া হতে পারে এমন আশঙ্কায় এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ওই টুইটে।
টুইটারের এমন পদক্ষেপে ট্রাম্প এমন একটি জায়গা থেকে বঞ্চিত হলো যেখানে তিনি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে আমেরিকান জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতেন।
প্রসঙ্গত, বুধবার (৬ জানুয়ারি) ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল ভবনে মার্কিন সিনেট এবং প্রতিনিধি পরিষদের যৌথ অধিবেশন বসে। সেখানে সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিজয় নিশ্চিত করার জন্য ইলেক্টরাল ভোটের আনুষ্ঠানিক গণনা করা হয়। ঠিক সেই সময় ট্রাম্প সমর্থকরা মার্কিন কংগ্রেসে হামলা চালায়।
এছাড়াও ট্রাম্প সমর্থকরা সেই সময় ক্যাপিটল ভবনে অনেক ভাংচুর এবং লুটপাট করে। আর এ ঘটনাকে সমর্থন জানিয়ে ট্রাম্প নিজেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার ও ফেসবুকে পোস্ট দেন। পোস্টে দাঙ্গাকারীদের ‘দেশপ্রেমিক’ বলে অভিহিত করেন তিনি। সূত্র: সিএনবিসি।