মোবাইল ফোনে সিম কার্ড ও রিমকার্ড ব্যবহার করে সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে ৫শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ হচ্ছে। বাজেট ঘোষণার পরই মধ্যরাত থেকে এসএমএস, কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে গ্রাহকদের বাড়তি টাকা কাটা শুরু হয়েছে। ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গ্রাহকের কাছ থেকে এই বাড়তি অর্থ নেয়া শুরু করেছে।
গতকাল বিকেল ৩ টায় ড. শিরীন শারমিন এর সভাপতিত্বে সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এই বাজেট প্রস্তাব করেন।
মোবাইল ফোন অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (অ্যামটব) মহাসচিব এস এম ফরহাদ এসম্পর্কে বলেন, বাজেট প্রস্তাবের পর এনবিআর এসআরও জারি করায় বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই মোবাইল ফোন সেবায় বাড়তি সম্পূরক শুল্কের ভিত্তিতে টাকা কাটছে মোবাইল অপারেটরগুলো।
এর আগে মোবাইল ফোনের মোট শুল্কের পরিমান ছিলো ২৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ । এখন মোবাইল ফোনের সেবায় ১৫ শতাংশ ভ্যাট, এক শতাংশ সারচার্জ, ১৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং অন্যান্য খরচ মিলে ২৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৩ দশমিক ২৫ শতাংশ হয়েছে।
অর্থাৎ আগে যেখানে প্রায় ১০০ টাকার সেবা পাওয়ার জন্যে গ্রাহককে খরচ করতে হতো ১২৭টাকা ৭৭পয়সা। সেই একই পরিমাণ সেবা পেতে এখন গ্রাহককে খরচ করতে হবে ১৩৩টাকা ২৫পয়সা। এর মধ্যে গ্রাহক ১০০ টাকা সমপরিমানের সেবা পাবেন এবং বাকি ৩৩টাকা ২৫পয়সা সরকার পাবে।
বর্তমানে বিটিআরসি এর মার্চ ২০২০ এর সমীক্ষা অনুযায়ী বাংলাদেশে মোবাইল ফোন গ্রাহকের পরিমান প্রায় ১৬ কোটি ৫৩ লাখ। আর ইন্টারনেট সেবা গ্রহণকারী গ্রাহকের পরিমাণ ১০ কোটি ৩২ লাখ। এর মধ্যে দেশের সবচেয়ে বড় অপারেটর গ্রামীণফোনের গ্রাহক প্রায় ৪৬শতাংশ ,দ্বিতীয় অপারেটর রবির গ্রাহকের পরিমাণ মোট গ্রাহকের ৩০শতাংশ আর বাংলালিংক অপারেটরে গ্রাহকের পরিমাণ ২২ শতাংশ।
মোবাইলে ব্যয়ের এই বৃদ্ধিতে মোবাইল অপারেটরগুলো দুঃখ প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি করোনার সময় ডিজিটাইলেশনে মোবাইলের ব্যবহার প্রচুর বৃদ্ধি পেয়েছে। এসময় যোগাযোগে মোবাইল ব্যবহারে মানুষ বেশি ঝুকছে। এই ৫% অতিরিক্ত শুল্ক প্রস্তাব মানুষকে মোবাইল ব্যবহারে অনুৎসাহিত করবে।
এছাড়া ব্যয় বাড়ছে ফেসবুক টুইটারের মতোন সামাজিক মাধ্যমের বিজ্ঞাপনগুলোতেও। গতবছর সামাজিক মাধ্যমে বিজ্ঞাপণে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়। এবার ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে বিজ্ঞাপনের উপর ১০ শতাংশ হারে উৎস কর ও আরোপ করা হয়।