করোনায় আক্রান্ত হয়ে বিপর্যস্থ পৃথিবী। বাংলাদেশও ব্যতিক্রম নয়। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে দেশে। আশংকা করা হচ্ছে বাংলাদেশে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। এখন বিপদটি আর সহনীয় পর্যায়ে নেই। মানূষকে আটকে রাখা যাচ্ছেনা কোন ভাবেই। করোনা এখন জাতীয় বিপর্যয়ের রূপ নিয়েছে। এমন জাতীয় দুর্যোগে দেশের মানূষের ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরী। কিন্তু কিছু নেতা এমন জাতীয় দুর্যোগে রাজনীতি করার চেষ্টা চালাচ্ছে কৌশলে, দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করেছে ঘৃন্যভাবে। সরকারের ত্রুটি বিচ্যুতি আবিষ্কার করতে ব্যস্ত হয়ে পরেছেন তারা। কে কি বলেছে আর কে কি করেছে তার হিসাব করছেন সুরক্ষিত কক্ষে বসে।
বাংলাদেশে যখনই জাতীয় দুর্যোগ এসেছে, এক শ্রেনীর নেতা সমালোচনায় লেগে পরেছেন মানূষকে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলার জন্য। দুর্যোগ মোকাবেলায় সক্রিয় না হয়ে বিরোধিতা করেছেন সরকারী উদ্যোগের। ষড়যন্ত্র করেছেন সরকার উৎখাতেরও। ষড়যন্ত্রকারীরা তাৎক্ষণিক সমর্থন পেলেও ক্ষতিটি করে গেছেন দেশের এবং দেশের মানূষের। নীজেরা তলিয়ে গেছেন ইতিহাসের অতল গহবরে। স্বাধিনতা প্রাপ্তির পর বঙ্গবন্ধুর সরকার যখন দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করেছেন তখন,বিপ্লবী সেজে নিত্য অভিযোগ করেছেন অনিয়মের। বিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে সর্বাত্ত্বক চেষ্টাকে মিথ্যাচার করে বিদ্রুপ করেছে প্রতিদিন। বিদেশ থেকে ভিক্ষা করে আনা সাহায্য লুট করেছে। বঙ্গবন্ধুর সকল প্রকার অনুনয় বিনয় কে অগ্রাহ্য করে সরকার পরিচালনা বাধাগ্রস্ত করেছে। সদ্য গঠিত দেশে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করেছে জঘন্যভাবে। রাজনীতির নামে লুট, খূন আর কালোবাজারি করে দেশ পুনর্গঠনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে প্রতিদিন। জাতীয় ঐক্যের শ্লোগান দিয়ে ধ্বংস করেছে জাতীয় সম্পদ। আসলে তারা বঙ্গবন্ধুর আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তাকে সহ্য করতে না পেরে চেষ্টা করেছে বঙ্গবন্ধুকে সরিয়ে দিতে। ষড়যন্ত্র জয়ী হয়েছে, নীজেরা ক্ষমতায় বসতে না পারলেও বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর ক্ষেত্রটি প্রস্তুত করে দিয়েগেছে ভালভাবেই। এখন বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেমের ফিরিস্থি দিয়ে যারা শহীদ হয়ে যেতে চান, তারাই ৭৩, ৭৪ এ বঙ্গবন্ধুকে শুধু সমালোচনাই করেনি, ব্যক্তিগত আক্রমনও করেছেন অশ্রাব্যভাবে।
৭৪ এর ন্যায় এখনও দেখছি জাতীয় ঐক্যের দাবী তুলে অনেকেই দেশপ্রেমের কথা বলেন, সমালোচনা করেন সরকারের, আসলে তারা দেশবাসীকে উষ্কে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন কৌশলে। যা কিছু সরকারই করেছে, ইতিহাসের সর্বোচ্চ প্রণোদনা ঘোষনা করে আপদকালিন সময় মোকাবেলার উদ্যোগ গ্রহন করেছে সরকার। ৭৪ এর মত এবারও সরকারি সাহায্যের চাল চুরির ঘটনা ধরা পরেছে। ধরা পরে বিচার হয়েছে অনেকের পদ পদবিও গেছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে। কিন্তু এখনো তদন্ত হয়নি কারা কারা এই চুরির সাথে জড়িত। বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন ৭৪ এর পর্যায়ে নেই, প্রান্তিক জনগোষ্ঠিও না খেয়ে নেই কেউ। তবুও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ৫ কোটি মানূষের খাদ্য বিতরন করার ঘোষনা দিয়েছেন। ফসলের বাম্পার ফলন হয়েছে দেশে, খাদ্য ঘাটতি হওয়ার সম্ভাবনাও নেই। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীদের অপকৌশলের ভিতীটি রয়েছে। দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র নতুন নয়। কেউ কেউ কোভিড-১৯ কেই তাদের উপযূক্ত সময় ভাবতে শুরু করেছেন। প্রতিদিন জ্ঞান বিলাচ্ছেন সুরক্ষিত কক্ষে বসে উত্তরনের। নীজেরা কেউ কোন উদ্যোগ নিয়ে বেড়িয়ে আসেননি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা, তিনি জানেন সব এবং সর্বাক্ষনিক তদারকি করছেন করোনার বাস্তব পরিস্থিতি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ষড়যন্ত্রটিও বোঝেন কিন্তু এখন সময় না জবাব দেওয়ার। নিজ দলের নেতা-কর্মীকে ক্ষমা করেননি, কাউকেই ক্ষমা করবেন না তিনি তবে, এখন দেশ এবং দেশের মানূষকে বাঁচানোই অন্যতম প্রধান কাজ।। করোনার উত্তরন হলেই সব ষড়যন্ত্রের হিসাব নেওয়া হবে। সমালোচনায় ভীত হয়ে দমে জাননি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী- দমবেনওনা। এটাই নেতৃত্ব, এটাই দেশপ্রেম তাই বলতে চাই ” সাবাশ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী”।
আজিজুর রহমান প্রিন্স
রাজনীতিবিদ, লেখক ও গবেষক
টরেন্টো, কানাডা
২০ শে এপ্রিল ২০২০