বাংলাদেশে প্রবাসীদের পাঠানো ডলারে সরকার আগে থেকেই আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দিয়ে আসছিলেন। এবার রেমিট্যান্সে সরকারের পাশাপাশি ব্যাংকগুলোও ২ দশমিক ৫০ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। অর্থাৎ প্রবাসীরা ১০০ টাকা পাঠালে পাবেন ১০৫ টাকা।
দেশে ডলার সংকট কাটাতে এমন উদ্যোগ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ অথরাইজড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা)।
বর্তমানে প্রবাসীদের আয়ে ব্যাংকে ১ ডলারের দাম ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। এর ওপর সরকার ২ দশমিক ৫০ শতাংশ প্রণোদনা দেয়। তাতে এক ডলারে পাওয়া যায় ১১৩ টাকা ২৬ পয়সার কিছু বেশি। এখন এর সঙ্গে ব্যাংকগুলো দিবে আরও ২ দশমিক ৫০ শতাংশ প্রণোদনা। ফলে এখন থেকে প্রবাসীরা ১ ডলারে পাবেন ১১৬ টাকার কিছু বেশি।
ব্যাংক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রেমিট্যান্স হাউসগুলো থেকে বেশি দামে প্রবাসী আয় কিনতে হচ্ছে। নির্ধারিত দামে ডলার পাওয়া যাচ্ছে না। তাই ডলার সংকট কাটাতে এমন সিদ্ধান্ত। তাদের ধারণা নতুন এই সিদ্ধান্তের ফলে প্রবাসীরা বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে আগ্রহী হবে।
প্রসঙ্গত, চলমান ডলার সংকটের মধ্যেই বড় আঘাত করেছে প্রবাসী আয়। গত ৪১ মাসের মধ্যে বৈধ পথে সর্বনিম্ন প্রবাসী আয় দেশে এসেছে গত মাসে। সেপ্টেম্বরে বৈধ পথে দেশে প্রবাসী আয় আসে ১৩৪ কোটি ৩৬ লাখ ডলার। এর আগে ২০২০ সালের এপ্রিলে এত কম প্রবাসী আয় দেশে এসেছিল। ওই মাসে প্রবাসী আয় এসেছিল ১০৯ কোটি ডলার। চলতি মাসেও প্রবাসী আয়ের নেতিবাচক ধারা বজায় রয়েছে। এ মাসের প্রথম ১৩ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ৭৮ কোটি ১২ লাখ ডলার। গত বছরের অক্টোবরের প্রথম ১১ দিনে প্রবাসী আয় এসেছিল ৬১ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
এদিকে ডলারের দাম স্থিতিশীল রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে। এরই মধ্যে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দিন দিন কমছে। এবারে এক সপ্তাহের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে প্রায় ১১ কোটি ডলার। এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রিজার্ভের পরিমাণ কমে ২১ বিলিয়ন বা ২ হাজার ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের নিচে নেমে গেছে।
আজ ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ১লা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১১:৩৫ | মঙ্গলবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি