করোনা’র কিটের সংকট রয়েছে সারা বিশ্বেই । আবার যাও বা আছে সেসব কিটে শতভাগ সঠিক ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ-বিস্তর। বিশ্বে করোনার দাপটের শুরু থেকেই কিট তৈরির চেষ্টা করে আসছে গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র। কিন্তু ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর করোনা শনাক্তে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উৎপাদিত কিট সংগ্রহ করেনি । এ বিষয়ে অধিদপ্তর বলছে, গণস্বাস্থ্যের উৎপাদিত কিট এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। যথাযথ প্রক্রিয়ায় গবেষণা সমাপ্ত না করে তারা এই কিট কাউকেই হস্তান্তর করতে পারে না।
তবে প্রথমিক অবস্থার এই কিট সরকারের কোনো কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করতে না পারলেও গণস্বাস্থ্যের কিটের নমুনা নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর প্রিভেনশন-সিডিসির প্রতিনিধিরা। এ বিষয়ে তাদের ও একই মতামত।
অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, কিট বা এমন কোনো উপকরণ তৈরির পর তা ব্যবহারের আগে তৃতীয় কোনো পক্ষ বা থার্ড পার্টিকে দিয়ে পরীক্ষা করাতে হয়। বাংলাদেশে আইসিডিডিআরবি ও আইইডিসিআরসহ এমন ন’টি থার্ড পার্টি রয়েছে। এছাড়াও সরকারের তরফে বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্স কাউন্সিল বিএমআরসি, ন্যাশনাল রিসার্স এথিক্স কমিটি বা এনআরইসিসহ ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর হয়ে অনুমোদিত হবার পরই তা জনসম্মুখে আনার বিধান রয়েছে।বিএসএমএমইউ লিডার বিভাগ চেয়ারম্যান ডা. মামুন বলেন, উনি নাকি বিদেশ থেকে স্যাম্পল নিয়ে এসে পরীক্ষা করে দেখেছেন তার কিট কাজ করেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনার কিট তৈরি অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। তবে সেটি করতে গিয়ে জনস্বাস্থ্য হুমকিতে ফেললে তা হিতে বিপরীত হবার শঙ্কাই বেশি।