মোঃ খোরশেদ আলম, কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধিঃ কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ের উপর অবস্থিত কোম্পানীগঞ্জ বাজার থেকে মুরাদনগর সদরে যাওয়ার একমাত্র প্রবেশদ্বারের কাজী নজরুল তোরণটি মরণফাঁদে রুপ নেয়ার পর প্রশাসনিক ব্যবস্থায় সরিয়ে নেওয়া হলেও এখনও সেটি পুনরায় স্থাপন করা হয়নি। স্থানীয়দের অভিমত তোরণটি ধসে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটার আশংকায় সরিয়ে নেওয়া হলেও তা অবিলম্বে আবার স্থাপন করা উচিত। কারন এটি এ এলাকার ঐতিহ্য।
জানা যায়, ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি সরকারের আমলে তোরণটি স্থাপন করা হয়েছিল।
মুরাদনগরের কোম্পনীগঞ্জ-নবীনগর সড়ক ধরে সামনে এগোলেই দৌলতপুর গ্রাম। এ গ্রামে ঢুকতেই চোখে পড়বে ‘নজরুল তোরণ’। তোরণের দুই পাশে ইট-সিমেন্টের তৈরি কালো রঙের টুকরো টুকরো বোর্ডে সাদা কালিতে লেখা কবির পঙ্কিমালা। এখানইে নার্গিসের ভালবাসার আগুনের পরশমানিকের ছোঁয়ায় বেজেছিলেন নজরুলের ‘অগ্নীবিণা’।
১৯২১ সালে বন্ধু আলী আকবর খানের সঙ্গে দৌলতপুরে তাঁর গ্রামের বাড়িতে আসেন কবি। এখানকার সবুজ-শ্যামল পরিবেশ কবিকে দারুণভাবে আচ্ছন্ন করে। এখানে কবি রচনা করেছেন বহু কবিতা, গান আর ছড়া। ওই পথ ধরে আধা কিলোমিটার এগোলেই খাঁনবাড়ি। যে বাড়িকে কেন্দ্র করে নজরুলময় হয়ে ওঠেন ভক্তরা। ওই বাড়ি আর গ্রাম দীর্ঘদিন থেকে পরিচিত হয়ে ওঠে নজরুল-নার্গিসের গ্রাম হিসেবে।
এখানে রয়েছে আলী আকবর খানের সুনিপুণ কারুকাজে শোভিত দ্বিতল বাড়ি। এ বাড়িতেই কবি ছিলেন। এ ভবনের পেছনে বাঁশঝাড় পার হলেই কবির বাসরঘর।
নজরুলের এতসব স্মৃতি ঘেরা এলাকার প্রবেশদ্বারের তোরণটি তার অতীতের সব কথাই মানুষের মনে রোমন্থিত করতো। কিন্তু এটি এখনও স্থাপন না করায় তার ঐতিহ্য আজ হারাতে বসেছে।
তাই প্রশাসনের প্রতি এলাকাবাসীর অনুরোধ অবিলম্বে এই ঐতিহ্যবাহী কাজী নজরুল ইসলাম তোরণটি পুনরায় স্থাপন করা হোক। সগৌরবে আবার দাড়িয়ে উঠুক কোম্পানীগঞ্জ বাজার থেকে মুরাদনগর সদরে যাওয়ার একমাত্র প্রবেশদ্বারের ঐতিহ্যবাহী কাজী নজরুল ইসলাম তোরণটি।