মোবাইলে কথা বলা ও ইন্টারনেটে বাড়তি শুল্ক ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট পাসের আগেই কেন আরোপ করা হয়েছে, তা জানতে চেয়ে মোবাইল অপারেটরদের কড়া ভাষায় চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
বিটিআরসির জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ফারহান আলম গতকাল শনিবার অপারেটরগুলোকে এ ই-মেইল পাঠান বলে জানা গেছে।
বিটিআরসি বলেছে, বাজেটে যে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে, তা এরইমধ্যে আরোপ করা শুরু করেছে অপারেটরেরা। বিষয়টি বিটিআরসির নজরে এসেছে। এটা প্রমাণিত হলে নজিরবিহীন কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কঠোর শাস্তি কী কী হতে পারে, তাও উল্লেখ করেছে বিটিআরসি। এর মধ্যে রয়েছে সব ধরনের অনাপত্তিপত্র (এনওসি) দেয়া এবং সব সেবা ও ট্যারিফ অনুমোদন বন্ধ করে দেয়া হবে। ই-মেইলে বিটিআরসি আরো বলেছে, বাজেটে মোবাইল সেবার ওপর যে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে, তা ১ জুলাই থেকে কার্যকর হওয়ার কথা।
অবশ্য জাতীয় সংসদে যেদিন বাজেট ঘোষণা হয়, সেদিন থেকেই নতুন শুল্ক কার্যকর হয়। অর্থবিলের ৮৮ পাতায় কোন কোন দফা অবিলম্বে কার্যকর হবে, তা উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে। এর আওতায় ৮০ নম্বর দফাও অন্তর্ভুক্ত যা মোবাইল সেবা।
বাজেটে সরকার মোবাইল সেবা, তথা কথা বলা, ইন্টারনেট ব্যবহার ও এসএমএস পাঠানোর ওপর সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করে।
নতুন করহারে মোবাইল সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) ১৫ শতাংশ, সম্পূরক শুল্ক ১৫ শতাংশ ও সারচার্জ ১ শতাংশ। ফলে মোট করভার দাঁড়িয়েছে ৩৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
এর মানে হলো, প্রতি ১০০ টাকা রিচার্জে সরকারের কাছে কর হিসেবে যাবে ২৫ টাকার কিছু বেশি, এত দিন যা ২২ টাকার মতো ছিল।
প্রসঙ্গত, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেন। রাতেই কোনো কোনো অপারেটর তা কার্যকর করার কথা জানায়। কেউ কেউ কার্যকর করলেও গ্রাহকের জন্য সব ক্ষেত্রে দাম বাড়ায়নি।