আসন্ন এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা উপলক্ষে সারা দেশের কোচিং সেন্টারগুলো আগামী ২৭ জানুয়ারি থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। নকল প্রতিরোধ ও প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় পরীক্ষা তদারক কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের ওই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
প্রশ্ন ফাঁস রোধে সিলগালা প্যাকেটের সঙ্গে এবার অ্যালুমিনিয়ামের ফয়েল কাগজ মোড়ানো থাকবে। এতে প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ করা সম্ভব হবে বলে জানান দীপু মনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সম্পূর্ণ নকলমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে আমরা যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছি তা বাস্তবায়নে পরীক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
দীপু মনি বলেন, পরীক্ষার্থীরা সাধারণ ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবেন। তবে বিশেষ প্রযুক্তির ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। কেন্দ্র সচিব ছাড়া অন্য কেউ পরীক্ষা কেন্দ্রে মুঠোফোন নিতে পারবেন না।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যারা প্রশ্ন ফাঁসের গুজব তৈরির চেষ্টা করে তারা নজরদারিতে আছে। এ ব্যাপারে বিটিআরসিকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া আছে।’
চলতি ২০১৯ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ৫ মার্চ পর্যন্ত চলবে। প্রায় ২১ লাখ শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশ নেবে।
পরীক্ষার সময়সূচি অনুযায়ী, ২ থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাধ্যমিকের তত্ত্বীয় পরীক্ষা হবে। আর ২৬ ফেব্রুয়ারি সংগীত বিষয়ের এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মার্চের মধ্যে অন্য বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষা হবে। এবারও বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) অংশের উত্তর আগে দিতে হবে। পরে নেওয়া হবে সৃজনশীল ও রচনামূলক অংশের পরীক্ষা। উভয় পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না।