প্রাণঘাতী করোনার প্রাদুর্ভাবের সময় মাস্ক এখন জীবনের অঙ্গ। করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ের মাস্ক মাস্ট। করোনার বিস্তার কমাতে বিশ্বের বহু দেশেই এখন মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে ৷ তবে কি মাস্ক ব্যবহার করা উচিত তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা তর্ক বিতর্কের পর আইসিএমআরের গাইডলাইন অনুযায়ী থ্রি লেয়ারড মাস্কই সবচেয়ে উপযোগী বলা হয়।
লাল-নীল হরেক রঙের কাপড়ের মাস্ক থেকে শুরু করে এন নাইন্টি ফাইভ , সার্জিক্যাল মাস্ক দেখেই আমরা অভ্যস্ত। কিন্তু ১৮ ক্যারেট সোনা, ৩৬০০ কালো সাদা হিরে খচিত রয়্যাল মাস্কও হতে পারে ভেবেছেন কখনও। যাতে এন ৯৯ ফিল্টার রয়েছে। এটি তৈরিতে খরচ হয়েছে ১.৫ মিলিয়ন ডলার যা বাংলাদেশী টাকায় ১২ কোটি ৭২ লাখ ১৪ হাজার টাকার সমান।
এমন অবিশ্বাস্য খবরই জানিয়েছেন ইজরায়েলের ইভেল জুয়েলারি ব্রান্ডের মালিক আইজ্যাক লেভি। বিশ্বের সবচেয়ে দামী মাস্ক এটি। যুক্তরাষ্ট্রের এক ব্যাক্তির জন্য বানান হচ্ছে এটি। এটি সম্পূর্ন তৈরী করে অক্টোবরে তাঁকে দেওয়া হবে। মাস্কটি তৈরি করতে ২৫ জন কাজ করেছেন।
তিনি ক্রেতার পরিচয় প্রকাশ করতে রাজি হননি। শুধু জানিয়েছে ওই ব্যক্তি একজন চীনা ব্যবসায়ী এবং বাস করেন যুক্তরাষ্ট্রে। প্রচলিত সার্জিক্যাল মাস্কের চেয়ে প্রায় ১০০ গুণ বেশি ওজনের অর্থাৎ ২৭০ গ্রামের এ মাস্ক যে নিয়মিতভাবে পরে রাখা যাবে না তা আর না বললেও চলে।
জেরুজালেমের কাছে নিজের প্রতিষ্ঠানে দেয়া এক সাক্ষাৎকালে লেভি হীরা খচিত আরও বেশকিছু মাস্ক দেখিয়েছেন। ‘অর্থ দিয়ে হয়ত সবকিছু কেনা যায় না, তবে এ দিয়ে যদি খুব দামি কোভিড-১৯ মাস্ক কেনা যায় তাহলে যে ব্যক্তি এটি পরতে এবং বাইরে হাঁটতে গিয়ে অন্যের মনোযোগ আকর্ষণ করতে চান তিনি এ মাস্ক নিয়ে নিশ্চয় খুশি হবেন,’ বলেন লেভি।