‘একুশে পদক-২০২৪’ প্রদান অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একুশ আমাদের শিখিয়েছে মাথা নত না করতে। কাজেই আমরা মাথা নত করে নয়, মাথা উঁচু করেই চলবো এবং বিশ্ব দরবারে মর্যাদা নিয়ে এগিয়ে যাবো।
আজ মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারী) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২১ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে দেওয়া পদক প্রদান অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন তিনি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা আমাদের শুধু স্বাধীনতাই দিয়ে যাননি, মর্যাদাবোধও দিয়ে গেছেন। বিজয়ী জাতি হিসেবে সারাবিশ্বে আমরা মাথা উঁচু করেই চলতে চাই। এ কথা সবাইকে মনে রাখতে হবে। জাতির পিতা আমাদের যে মর্যাদা দিয়ে গেছেন সেই মর্যাদা ’৭৫ এর পর বাঙালি জাতি হারিয়ে ফেলেছিল। কিন্তু আজ আমি দাবি করতে পারি, বাঙালি আবার বিশ্ব দরবারে এখন মাথা উঁচু করে চলতে পারে। সেই মর্যাদা আমরা ফিরিয়ে এনেছি। আর এই মর্যাদা সমুন্নত রেখেই আমাদের আগামী দিনে এগিয়ে যেতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কারো কাছে হাত পেতে নয়, ভিক্ষা করে নয়, আমরা আত্মমর্যাদা নিয়ে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলবো। কারণ, একুশ আমাদের মাথা নত না করা শিখিয়েছে। কাজেই, আমরা মাথা উঁচু করে চলবো।
এদিন পদক বিতরণ পর্ব সঞ্চালনা এবং পদক বিজয়ীদের সাইটেশন পাঠ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাসনা জাহান খানম। এ সময় সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, সরকারের ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, দেশবরেণ্য বুদ্ধিজীবী, কবি, সাহিত্যিক, শিল্পীসহ বিশিষ্ট আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, এবারের একুশে পদক-২০২৪ বিজয়ী ২১ জনের তালিকা প্রকাশ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। এবার একুশে পদকে ভূষিতরা হলেন- ভাষা আন্দোলনে মৌ. আশরাফুদ্দীন আহমদ (মরণোত্তর), বীর মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী মিয়া (মরণোত্তর), শিল্পকলায় (সংগীত) জালাল উদ্দীন খাঁ (মরণোত্তর), বীর মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণী ঘোষ, বিদিত লাল দাস (মরণোত্তর), এন্ড্রু কিশোর (মরণোত্তর), শুভ্রদেব, শিল্পকলায় (নৃত্যকলা) শিবলী মোহাম্মদ, শিল্পকলায় (অভিনয়) ডলি জহুর, চিত্রনায়ক এম এ আলমগীর, শিল্পকলায় (আবৃত্তি) খান মো. মুস্তাফা ওয়ালীদ (শিমুল মুস্তাফা), রূপা চক্রবর্তী, শিল্পকলায় (চিত্রকলা) শাহজাহান আহমেদ বিকাশ, শিল্পকলায় (মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও আর্কাইভিং) কাওসার চৌধুরী, সমাজসেবায় মো. জিয়াউল হক, রফিক আহামদ, ভাষা ও সাহিত্যে মুহাম্মদ সামাদ (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভাইস চ্যান্সেলর), লুৎফর রহমান রিটন, মিনার মনসুর, রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ (মরণোত্তর) এবং শিক্ষায় প্রফেসর ড. জিনবোধি ভিক্ষু।
আজ ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ১১:১৫ | রবিবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি