রাজনীতি হলো মানব সেবার কার্যকর উপায়। মানুষের কল্যাণে কাজ করা এবং মানুষের কল্যাণে দেশ ও এলাকার অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করাই রাজনীতি। আজ পাঠকদের এমনই কয়েকজন রাজনীতিবিদের কথা জানাবো।
১। বাড়িওয়ালা ভাড়া না দেওয়ায় ৯৪ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। বৃদ্ধের কাছে একটি পুরানো বিছানা, কিছু অ্যালুমিনিয়ামের বাসন, একটি প্লাস্টিকের বালতি এবং একটি মগ ইত্যাদি ছাড়া কোনো জিনিসপত্র ছিল না। বৃদ্ধ ভাড়াটিয়া বাড়ির মালিককে অনুরোধ করলেন ভাড়া পরিশোধের জন্য তাকে কিছু সময় দেওয়ার জন্য, প্রতিবেশীরাও বৃদ্ধের প্রতি করুণা করেছিল এবং তারা বাড়িওয়ালাকে ভাড়া পরিশোধের জন্য কিছু সময় দিতে রাজি করিয়েছিল। ফলে বাড়িওয়ালা অনিচ্ছায় বৃদ্ধ ভাড়াটিয়াকে বকেয়া ভাড়া পরিশোধ করতে কিছুদিন সময় দেন। বৃদ্ধ তার জিনিসপত্র ভিতরে নিয়ে গেলেন।
পাশ দিয়ে যাওয়া এক সাংবাদিক পুরো দৃশ্য দেখেন। তিনি ভেবেছিলেন বিষয়টি তার পত্রিকায় প্রকাশ করলে উপকার হবে। এমনকি তিনি একটি শিরোনামও ঠিক করেছিলেন, “নিষ্ঠুর বাড়িওয়ালা টাকার জন্য বৃদ্ধ ভাড়াটিয়াকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়”। তারপর পুরনো ভাড়াটিয়ার কিছু ছবি তুললেন এবং ভাড়া বাড়ির কিছু ছবিও তুললেন।
সাংবাদিক অফিসে গিয়ে তার সম্পাদককে ঘটনাটি জানালে ছবিগুলো দেখে তিনি হতবাক হয়ে যান। সাংবাদিককে তিনি প্রশ্ন করেন, বৃদ্ধাকে চেনেন? সাংবাদিক বললেন, না।
পরের দিন পত্রিকার প্রথম পাতায় বড় খবর ছাপা হয়, শিরোনাম ছিল “গুলজারীলাল নন্দা, ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন”। সংবাদে আরও লেখা হয়েছে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেন বাড়ি ভাড়া দিতে পারলেন না এবং কীভাবে তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হল। আজকাল ফ্রেশাররাও প্রচুর টাকা আয় করে বলে মন্তব্য করা হয়। যেখানে একজন ব্যক্তি যিনি দুবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন এবং দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও ছিলেন, তার নিজের কোন বাড়িও নেই।
পরদিন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের গাড়ির বহর দিয়ে গুলজারীলাল নন্দার ভাড়াবাড়িতে পাঠান । এত ভিআইপি-র গাড়ির বহর দেখে বাড়িওয়ালা হতবাক হয়ে গেলেন। তখনই তিনি জানতে পারলেন যে তার ভাড়াটিয়া মিঃ গুলজারীলাল নন্দা ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। বাড়িওয়ালা তৎক্ষণাৎ গুলজারীলাল নন্দের পায়ে মাথা নত করেন তার দুর্ব্যবহারের জন্য।
আগত ভিআইপিরা গুলজারীলাল নন্দাকে সরকারি বাসস্থান এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। মিঃ গুলজারীলাল নন্দা তাঁদের প্রস্তাব গ্রহণ করেননি এই বলে যে, এই বৃদ্ধ বয়সে এমন সুযোগ-সুবিধা তার দরকার নেই। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত তিনি একজন সাধারণ নাগরিকের মতোই সাদাসিধে জীবনযাপন করেছেন।
গুলজারীলাল নন্দা, ১৮৯৮ সালের ৪ জুলাই বৃটিশ ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের শিয়ালকোটে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬২ এবং ১৯৬৩ সালে তিনি কাজ করেন কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী হিসেবে। পরে, ১৯৬৩-৬৬ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর মৃত্যুর পর ১৯৬৪ সালের ২৭ মে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি শপথ গ্রহণ করেন। পরে, তাশখন্দে শ্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যুর পর ১৯৬৬ সালের ১১ জানুয়ারি তিনি পুনরায় প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ বাক্য পাঠ করেন। ১৯৯৭ সালে ভারত সরকার তাঁকে ‘ভারতরত্ন’ উপাধি দিয়ে সম্মানিত করেছিল। ১৯৯৮ সালের ১৫ জানুয়ারি ৯৯ বছর বয়সে বর্তমান ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদে মৃত্যুবরণ করেন।
২। নব্বই দশকের শেষ দিকে আমি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (বাকসু ৮৮-৮৯)-র সাধারণ সম্পাদক। সেই সময় বাংলাদেশের ছয়টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের মধ্যে শুধু বাকসু (৮৮-৮৯)- ই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একক প্যানেলে নির্বাচিত হয়েছিল। সেই সুবাদে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রসংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগের প্যানেল পরিচিতি সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার সুবাদে মফস্বলের অনেক গুণীজনের সান্নিধ্য পাওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। এমনি একটি প্যানেল পরিচিতি সভায় উপস্থিত হওয়ার জন্য কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়ায় গিয়েছিলাম।
আমি বিশেষ অতিথি, প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য একেএম শামসুল হক যিনি গোলাপ মিয়া নামে পরিচিত । ছাত্রলীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা আমাকে নিয়ে গেল সংসদ সদস্য গোলাপ মিয়ার বাড়িতে । বাড়িটি একটি পুরাতন ভাঙ্গা দালান। তবে আভিজাত্যের ছোঁয়া লেগে আছে। আমি প্রবেশ করতেই প্রধান ফটক পর্যন্ত এসে আমাকে রিসিভ করতে ভুলেননি সেই প্রবীণ রাজনীতিবিদ, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, ভাষা সৈনিক ও সংসদ সদস্য একেএম শামসুল হক গোলাপ মিয়া। ভিতরে যেতে যেতে যতগুলো কথা বলেছেন, প্রতিটি কথায় তিনি তার পারিবারিক ঐতিহ্যের পরিচয় দিয়েছেন। ঘরের ভেতরের পুরাতন আসবাবপত্রগুলোতেও ছিল আভিজাত্যের ছাপ। আতিথেয়তার জন্য পুরাতন কাপ-প্রিচে পরিবেশন করেল দোকান থেকে কিনে আনা গ্লুকোজ বিস্কুট ও চা।
তিনি অতি বিনয়ের সাথে বললেন, ‘আপনি ঢাকার ছেলে, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের ভোটে নির্বাচিত ছাত্রনেতা। আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছি, আপনি আমার মেহমান হয়েছেন’। চা পর্ব শেষ করে আমরা দুজনে একই রিকশায় চড়ে অনুষ্ঠানস্থল অভিমুখে যাত্রা শুরু করলাম। দুই দিক থেকে এক লাইন ধরে রিক্সা চলাচল করতে পারে এমনি একটি মফস্বলের রাস্তায় আমরা দুজন চলছি। হাতে সময় নেই। অনুষ্ঠানের সময় ঘন্টাখানেক বাকি। আমাদের দ্রুত যেতে হবে। কিন্তু আমরা এগুতেই পারছিনা। বিপরীতমুখী প্রতিটি রিক্সা থামিয়ে চালক ও আরোহীদের প্রত্যেকে তাদের প্রিয়নেতা গোলাপ ভাই এর সাথে কুশলাদি বিনিময় করছেন, হ্যান্ডশেক করছেন বা হাত ধরে মুসাফা করছেন, অনেকেই পা ছুঁয়ে সালাম করছেন। পেছনে লম্বা লাইন পরে গেছে। কেউই বাদ পরছেন না। এই হলো মানব সেবক রাজনৈতিক নেতা।
বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার রাজনীতিবিদ, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, ভাষা সৈনিক ও সাবেক সংসদ সদস্য একেএম শামসুল হক গোলাপ মিয়া কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার তারাকান্দি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এই নেতা কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি ১৯৮৬ ও ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে কিশোরগঞ্জ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। মহান এই নেতা একেএম শামসুল হক ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৯৯ সালে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
৩। নাটোরের কালামানিক মমতাজউদ্দিন আহমেদের কথা আমাদের অনেকেরই জানা আছে। ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তিনি গুরুত্বপূর্ণ সরকী দায়িত্বে থাকলেও অতি সাধারণ মানুষের মত সাদামাটা জীবন যাপন করতেন। আওয়ামী লীগ বিরোধীদলে থাকা অবস্থায় মাননীয় নেত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য তিনি প্রায়ই সুধাসদনে আসতেন। সাধারণ সাদা ৩৫/৬৫ টেট্রন কাপড়ের পাজামা-পাঞ্জাবী, বাটা কোম্পানির অতি সাধারণ চামড়ার স্যান্ডেল পায়ে আসতেন। সবসময়ই মুখে পান থাকতো। মাথায় ব্যবহৃত তেল কানের দুই পাশ দিয়ে বেয়ে পরতে থাকতো। বিএনপি সরকারের শাসনামলে বিএনপির সন্ত্রাসীরা তাঁকে হত্যা করেছিল।
জনপ্রিয় নেতা মমতাজ ভাই এর শোকসভায় উপস্থিত হয়েছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। ঐ শোকসভায় যাওয়ার পথে মাননীয় নেত্রীর গাড়িতে আমিও ছিলাম। মাননীয় নেত্রী বলেছিলেন, ‘বাহিরে তাকিয়ে দেখ, ধানক্ষেতের আইল বেয়ে পিঁপড়ার মত লাইন ধরে মানুষ আসছে, একেই বলে জননেতা’।
৪। আশির দশকের মাঝামাঝি ছাত্র রাজনীতি সংশ্লিষ্টদের ‘বদিউজ্জামান বাদশা‘ নামটির সাথে পরিচয় থাকার কথা। এক সময় মেধা, বিস্তর পড়াশুনা আর অনর্গল তথ্যে-উপাত্তে বক্তৃতা দেবার সক্ষমতায় ছাত্র রাজনীতিতে কিছু অভিজাত নেতার দেখা মিলতো, বদিউজ্জামান বাদশা ছিলেন তাঁদের অন্যতম। ঘণ্টার পর ঘণ্টা প্রাঞ্জল শব্দচয়নে, সমৃদ্ধ তথ্যে বক্তৃতা দিয়ে দর্শক শ্রোতাদের মন্ত্রমুগ্ধের মত আটকে রাখার সক্ষমতা একজন ছাত্র নেতাকে কতোটা উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে আশির দশকে ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে আমরা যেন তারই কালের সাক্ষী আর আইকনটি ছিল জনাব বদিউজ্জামান বাদশা।
দুরারোগ্য ব্যাধি অগ্নাশয় ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে ২২ নভেম্বর রবিবার দিবাগত রাত ২ টা ৪৫ মিনিটে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে তিনি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। প্রাণহীন বদিউজ্জামান বাদশাকে নিয়ে আমিও গিয়েছিলাম শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী, তাঁর জন্মভূমিতে। আমি গত ২২ নভেম্বর ২০২১ শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে একজন জননেতার জানাজা দেখলাম। নকলা-নালিতাবাড়ীর মাটি ও মানুষের নেতা ছিলেন তিনি। প্রিয় নেতাকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে রাস্তায় রাস্তায় মানুষের ঢল। লোকে লোকারণ্য উপজেলা সদর এলাকা। গ্রাম-গ্রামান্তর থেকে দলে দলে আসছে আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা। তারাগঞ্জ হাই স্কুলের বিশাল মাঠে তিল ধারনের ঠাঁই নাই। স্থানীয় নেতারা, জনপ্রতিনিধিরা স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পরছেন।
বক্তারা বলছেন, ‘একজন মানুষের মৃত্যু হলে তার পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয় কিন্তু কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশার মৃত্যুতে নকলা-নালিতাবাড়ীর সকল মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হলো। মানুষের সেবা করাই ছিল বাদশা’র নেশা’।
এই নেতার স্মরণে আয়োজিত স্মরণসভায় কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশা-র রাজনীতির চারণক্ষেত্র শেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আতিউর রহমান আতিক বলেছেন, ‘মর্মে মর্মে আমি উপলব্ধি করছি, ব্রহ্মপুত্র নদের উত্তর পারে গারো পাহাড়ের পাদদেশে এক ক্ষণজন্মা পুরুষ ছিলেন কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশা, যিনি আমাদের ছেড়ে চিরদিনের জন্য চলে গেছেন’।
মৃত্যুর অল্প কয়েকদিন পূর্বে অসুস্থ অবস্থায় এক জনসভায় জননেতা বদিউজ্জামান বাদশা বলেছেন, ‘আপনাদের কষ্টের কথা আমার জানা আছে । যতদিন আমি জীবিত থাকবো বন্ধুগণ, ভাইয়েরা আমার, ততদিন আপনাদের পাশে থাকার চেষ্টা করবো। যদি কিছু নাও দিতে পারি, অসুখে-বিসুখে আমার রক্তটুকুও যদি কাজে লাগে, আমি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সেই রক্তটুকু দিয়ে হলেও আপনাদের ভালবাসার ঋণ শোধ করতে চেষ্টা করবো। আর আপনারা আমার কাছে আমার জীবিত অবস্থায় কেউ কোন কাজে আসেন, আমার সাধ্যের ভিতরে থাকে, আমার ঘরের লোক হিসেবে আমি সেটিকে পূরণ করতে চেষ্টা করবো। বন্ধুগণ, আমি আর কথা বলতে পারছি না, আমার কথা আড়ষ্ট হয়ে আসছে। ভাইয়েরা আমার,…, আজকে আমার ডাকে যারা সমবেত হয়েছেন নেতৃবৃন্দসহ, প্রত্যেকের কাছে করজোড়ে ক্ষমা প্রার্থনা করি, বঙ্গবন্ধুর কন্যার জন্য দোয়া করবেন, … উনি মুজিবের কন্যা, সেই বঙ্গবন্ধুর কন্যার জন্য দোয়া প্রার্থনা করে আমার সংক্ষিপ্ত নিবেদন শেষ করলাম।’
ড. মোঃ আওলাদ হোসেন, ভেটেরিনারীয়ান, পরিবেশবিজ্ঞানী, রাজনৈতিক কর্মী ও কলামিস্ট, ঢাকা, বাংলাদেশ।