রাজনীতির শুদ্ধি অভিযানটি শুরু হয়েছিল যূব লীগ দিয়ে। স্বেচ্ছাসেবক লীগের নামও এসেছে এবং নেতৃত্ব পরিবর্তন হয়েছে। দু’টি দলেরই নতুন কোন অভিযোগ উঠেনি। প্রশংসীতো হয়েছে নতুন নেতৃত্ব। যুবলীগের ঢাকা উত্তর এবং দক্ষিনের কমিটি নিয়ে প্রায়ই প্রচারনা দেখি। প্রত্যাশা হল যোগ্য নেতৃত্বের। ত্যগী, সৎ এবং যোগ্য নেতৃত্ব পেলে রাজনীতির চেহারাটাই বদলে যেতে পারে। যুবলীগ দেশের একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক দলে পরিনিত হতে পারে।তবে, ছাত্রলীগের মত যেন না হয়। সিলেট এম সি কলেজে ধর্ষন মামলায় ছাত্রলীগের সংশ্লিষ্ঠতা পাওয়া গেলে তা হবে দলের জন্য ক্ষতিকর। গনমাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারনা চলছে প্রতিনিয়ত। ছাত্রলীগ নামধারী গুন্ডারা এই প্রচারনায় ঘি ঢেলে দিচ্ছে। দায়টি দলের নেতৃত্বকে অবশ্যই নিতে হবে। এত হুশিয়ারীর পরেও যারা এই অপরাধ করছে তারা, ছাত্রলীগের সদস্য হতে পারেনা, হলেও এরা অনুপ্রবেশকারী। দলের যে কোন পর্যায়ের নেতা নির্বাচনে নেতৃত্বকে বিষয়টি বিবেচনায় রাখা জরুরী। রাজধানী ঢাকার যে কোন পর্যায়ের নেতা গুরত্ব বহন করে। অপরাধের বোঝাটিও সমানভাবে বিবেচীত। যূবলীগের কেন্দ্রিয় নেতৃত্বের কাছে সবিনয় নিবেদন থাকবে, নেতা নির্বাচনে যেন আর কোন ভুল না হয়। দলের নাম ভাঙ্গিয়ে কতিপয় নেতা-কর্মীর অপরাধ করছে সরকারে সব অর্জনকে ধুলায় মিশিয়ে দিচ্ছে। ছাত্র লীগের কেন্দ্রিয় নেতৃত্বকেও খুজে বেড় করা জরুরী, দলে ধর্ষকরা স্থান পেলো কার সুপারিশে। রাজনীতি নয়, যে কোন পেশা বা আদর্শ ধরন করলে সর্বাজ্ঞে একজন ভাল মানূষ হওয়া জরুরী। কর্মী বা সদস্য নিয়োগের ক্ষেত্রে পারিবারিক এবং চরিত্রগত তথ্য বিবেচনার শর্ত থাকা উচিত। আজকের তরুন-যুবাটি ভবিষ্যত নেতৃত্ব নিবে, চরিত্র পরীক্ষা করা না হলে দেশ বিপদগ্রস্থ্য হবে।
আজিজুর রহমান প্রিন্স
টরেন্টো, কানাডা
২৭ সেপ্টম্বর ২০২০