উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ববি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এস এম ইমামুল হক গতকাল রাতে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘সিন্ডিকেটের সভায় সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে উদ্ভূত পরিস্থিতির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করছি।’

আর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি লোকমান হোসেন জানান, তারা আশা করেছিলেন, সিন্ডিকেটের সভায় উপাচার্যের পদত্যাগ বা ছুটিতে যাওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক কোনো ঘোষণা আসবে। কিন্তু সেটা না পাওয়ায় রাত ১১টার দিকে তারা বৈঠক করে। আর ওই বৈঠকে বুধবার(১০ এপ্রিল) বেলা ১১টা থেকে কাফনের কাপড় পরে কুয়াকাটা-বরিশাল-ভোলা মহাসড়ক অবরোধ ও আমরণ অনশন পালনের সিদ্ধান্ত হয়।

দাবি না মানা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চালিয়া যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।

গত ২৬ মার্চ এক অনুষ্ঠানে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে মন্তব্য করেন উপাচার্য। এরপর ২৭ মার্চ থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেন শিক্ষার্থীরা। পরের দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ২৯ মার্চ উপাচার্য তাঁর মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বিজ্ঞপ্তি দেন। তবে তা প্রত্যাখ্যান করে তার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখেন শিক্ষার্থীরা।