শহরের যান্ত্রিকতা ভুলতে নৈসর্গিক প্রকৃতির মাঝে কিছুটা সময় কাটাতে রাঙামাটিতে ভিড় করছেন হাজার হাজার পর্যটক। ফেব্রুয়ারিতে বিভিন্ন ছুটির কারণে এসময় পর্যটক আগমন বেড়েছে কয়েকগুণ। বাড়তি পর্যটকদের চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীদের।
নগরজীবনের ক্লান্তি দুর করতে পাহাড়ি এই জনপদে ভিড় করা এসব পর্যটকরা রাঙামাটির অপার সৌন্দর্যে মুগ্ধ। ঘুরতে আসা পর্যটকদের বিনোদনের প্রধান আকর্ষণ ছিল কাপ্তাই হৃদ ও পাহাড়ের নৈসর্গিক সৌন্দর্য। ঝুলন্ত সেতু, পলওয়েলসহ নানা পর্যটক স্পটগুলোতে এখন হাজারো মানুষের সরব উপস্থিতি।
ঘুরতে যাওয়া দুই শিশু পর্যটক বলেন, এখানে প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো খুবই সুন্দর। রাঙামাটি এসে আমার খুবই ভালো লেগেছে।
এক নারী পর্যটক বলেন, আমরা যারা শহরে থাকি, প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখতে পাই না। এখানে এসে মনে হচ্ছে আমাদের দেশটা অনেক সুন্দর।
এদিকে বাড়তি পর্যটকদের সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হোটেল ব্যবসায়ীদের। বেশিরভাগ পর্যটকদের রুম দিতে পারেনি হোটেল ব্যবসায়ীরা।
পর্যটকের আগমনে বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় খুশি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও। এক ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের বেচা-বিক্রি ভালো হচ্ছে। এভাবে যেন পর্যটকরা আমাদের রাঙামাটি আসে।
পর্যটকরা যাতে নির্বিঘ্নে পর্যটন স্পটে ঘোরাঘুরি করতে পারে সেজন্য টুরিস্ট পুলিশ কাজ করছে। টুরিস্ট পুলিশের এসআই মো. রহিম বলেন, পর্যটকরা নির্বিঘ্নে ঘোরাঘুরি করতে পারে, সেজন্য আমাদের টহল নিয়মিত অব্যাহত রয়েছে।
আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পর্যটন কর্পোরেশনের সব রুম বুকিং রয়েছে বলে জানিয়েছেন রাঙামাটি পর্যটন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক সৃজন কান্তি বড়ুয়া। তিনি বলেন, আবহাওয়াসহ সব কিছু ঠিক থাকলে আসা করছি কোনো অসুবিধা হবে না। গতবারের চেয়ে এই বছর আমরা সব অঙ্ককের সীমা অতিক্রম করতে পারবো।
প্রতি বছর রাঙামাটি জেলায় পাঁচ লাখ পর্যটকের আগমন ঘটলেও গত তিন দিনে রাঙামাটিতে লক্ষাধিক পর্যটকের আগমন হয়েছে বলে জানিয়েছে পর্যটন কর্পোরেশন।