শিল্প কারখানায় উন্মুক্ত করা হচ্ছে গ্যাসের সংযোগ। শিগগিরই বিষয়টি চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী। এটি করা সম্ভব হলে, বিলুপ্ত হবে গ্যাস সংযোগ অনুমোদনের দায়িত্বে থাকা উচ্চতর কমিটি। নীতিমালার আলোকে আবেদন করলেই সপ্তাহের মধ্যেই শিল্প মালিকরা পাবেন গ্যাস সংযোগ। সরকারের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে বাড়তি গতি পাবে শিল্পখাত।
গেলো বছরের শেষ দিকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলএনজি যুগে প্রবেশ করেছে দেশের জ্বালানি খাত। বর্তমানে দৈনিক প্রায় চার’শ পঞ্চাশ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হচ্ছে জাতীয় সঞ্চালন গ্রিডে। যদিও লক্ষ্যমাত্রা ছিলো এক হাজার ঘনফুট।
দেশজ গ্যাসের উৎপাদন স্বল্পতায় গত দশ বছরে শিল্প প্রতিষ্ঠানে সংযোগ প্রদানে স্থিতাবস্থা রয়েছে। বিদেশ থেকে আমদানি করা এলএনজি’র ভরসায় শিল্পে গেলো ২-৩ বছর থেকে বন্ধ থাকা গ্যাস সংযোগের সুযোগ খুলছে ক্রমেই। তবে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কমিটির হাত ধরে সংযোগ পেতে অপেক্ষা করতে হয় বছরের পর বছর।
২০২১ সালের আগেই মধ্যম আয়ের অর্থনীতির কাতারে দেশকে নিয়ে যেতে ঘটাতে হবে শিল্পের প্রসার। আর তাই, এ খাতে গ্যাস সংযোগ সহজীকরণে সরকার মনোযোগি বলে জানালেন প্রতিমন্ত্রী।
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ইন্ডাস্ট্রিতে এখন আর কোনো কমিটি নয়, সরাসরি আবেদন করলেই যত দ্রুত সম্ভব গ্যাস লাইন দেওয়া উচিত।’
শিল্পে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ করতে চায় সরকার, তাই এ ক্ষেত্রে মূল্য আরো বাড়বে বলেও জানান নসরুল হামিদ।
বিজিএমই সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘কমিটি যত কমে আসবে কাজের অগ্রগতি তত বাড়বে।’
যতো দ্রুত সম্ভব, বিদ্যুৎ ও শিল্প খাতে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ করতে চায় জ্বালানি বিভাগ।