বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনে প্রবাসীদের সহযোগিতা চেয়েছেন। বৃহস্পতিবার সৌদি আরবের জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের চ্যান্সেরি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন তিনি। প্রবাসীদের কল্যাণে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। সৌদি আরবে চারদিনের দ্বিপাক্ষিক সফরের শেষ দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেশকিছু কর্মসূচিতে অংশ নেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দুপুরে জেদ্দায় প্রবাসীদের আয়োজিত এক সভায় যোগ দেন সরকার প্রধান। তিনি প্রবাসীদের কাছে বাংলাদেশের উন্নয়নের নানা দিক তুলে ধরেন। বলেন, দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে রাজনীতি করে আওয়ামী লীগ। তিনি বলেন, ‘একসময় মানুষ বাংলাদেশ শুনলেই নাক সিটকাতো। বাংলাদেশ মানেই ঝড়ের দেশ, বাংলাদেশ মানে গরীবদের দেশ, মিসকিনের দেশ। এভাবে মনে করতো। এখন কিন্তু কেউ তা মনে করে না। এখন মনে করে বাংলাদেশ হচ্ছে উন্নয়নের রোল মডেল। ধারাবাহিকভাবে আজ আমরা সরকারে আছি বলেই উন্নয়নটা সকলের কাছে দৃশ্যমান।’ এসময় পদ্মা সেতু নিমার্ণে ড. ইউনূসের অবস্থানের সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘একটা ব্যাঙ্কের এমডি পদের লোভে পদ্মা সেতুর টাকা বন্ধ করার চক্রান্ত করেছিলেন আমার দেশেল একজন সম্মানিত লোক। এর থেকে দুর্ভাগ্যের আর কি আছে যে এদের দেশের প্রতি কোনো মমত্ববোধ নেই? মানুষের প্রতি মমত্ববোধ নেই?’ বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের অবদান আছে উল্লেখ্য করে শেখ হাসিনা বলেন, বিদেশে যারা কাজ করে তাদের নিরাপত্তা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে সরকার। তিনি বলেন, ‘যে যে দেশে যাবে, সেসব দেশের আেইন-কানুন কীভাবে মানতে হবে- সেই শিক্ষাটা দেয়া, কে কী ধরণের কাজ করবে- সেই কাজের ট্রেনিং দেয়া, আর সেইসঙ্গে এই নিরাপত্তাটাও দেয়া যে কোথায় কাজ নিয়ে যাচ্ছি। কী কাজ করবেন, কত টাকা পাবেন, কাজের কী অবস্থা, কোন পরবেশ- সেটার একটা হিসাব থাকবে।’ এর আগে জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের চ্যান্সেরি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।