ঘন কুয়াশার চাঁদরে ঢেকে গেছে উত্তরের জনপদ ভারত সীমান্তবর্তী লালমনিরহাট, তীব্র শীত জেঁকে বসেছে উত্তরাঞ্চলের জেলা গুলোতে, ভারী কুয়াশায় সূর্য্যের আলোর দেখা যাচ্ছে না। আলো স্বল্পতায় বিকেল ৩ টা থেকেই ঘন অন্ধকার নেমে আসে চারদিকে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে মৌসুমী বায়ুর কারনে শীতের তীব্রতা বাড়বে, আসতে পারে শৈত্য প্রবাহ।
মঙ্গলবার (১২ডিসেম্বর) সকাল থেকে লালমনিরহাট সহ উত্তরাঞ্চলের জেলা গুলোতে ভারী কুয়াশায় আকাশ আচ্ছন্ন ছিলো, সারাদিনে সূর্যের দেখা মেলেনি, সড়ক ও মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে, গত দুই রাত থেকেই শীতের তীব্রতা জেঁকে বসে জনজীবনে। বয়স্ক ও শিশুদের শীতের ভাড়ী পোষাকে আটোসাঁটো হয়ে চলাচল করতে দেখা যায়। শীতের কারনে নিম্ন আয়ের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী চরাঞ্চলের বাসিন্দারা শীতের তীব্রতায় চরম বিপাকে পড়েছে। কালীগঞ্জের তুষভান্ডার ইউনিয়ন এর চর বৈরাতী, কাশীরামে সরেজমিনে দেখা যায় নিম্নবিত্ত দিনমজুর মানুষ তীব্র শীতের মধ্যেও জীবিকার তাগিদে ফসলি জমিতে কাজ করছে, পরনে শীতের কাপড় নেই, অনেক কষ্টে শীত নিবারণ করছে।শীতের তীব্রতা বাড়লে শীতার্ত মানুষের জন্য শীত বস্ত্র বরাদ্দের দাবী জানান চরাঞ্চলের বাসিন্দারা।
শীতবস্ত্র বরাদ্দের বিষয়ে জানতে চাওয়ার জন্য উপজেলা ত্রান ও পূর্নবাসন কর্মকর্তা ফেরদৌস আহমেদ এর মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।
আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | সন্ধ্যা ৬:০৩ | শুক্রবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি