মিরপুর শের ই বাংলা স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে উইন্ডিজদের শুরুটা ঝড়ের সংকেত দিচ্ছিলো। বাংলাদেশের শুরুটাও ছিল আত্মবিশ্বাসী। কিন্তু হঠাৎ করেই সব যেনো সব হয়ে গেল লন্ডভন্ড। বাংলাদেশকে ক্যারিবীয়রা হারাল ৫০ রানে। সঙ্গে ২-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজও। খেলার শুরুতেই ৬ বলে ৮ রান করা তামিমকে সাই হোপের পাঠানো বলে রভমন পাওয়েল আউট করে ফেরান। স্ট্রাইকে প্রায় পৌঁছেও গিয়েছিলেন তামিম কিন্তু ব্যাট নিচে না নামতেই স্ট্যাম্প ভেঙে দেন পাওয়েল। তামিম ফেরার পর পরই সৌম্য সরকার ১০ বলে ৯ রান করে ও রানের খাতা খোলার আগেই অ্যালেনের বলে ফেরেন সাকিব। দুজনই একই জায়গায় ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। লিটন দাসের আউট হওয়া না হওয়া নিয়ে বেশ কিছুক্ষন খেলা বন্ধ থাকে। ক্যাচ হলেও আম্পায়ার নো বল ডাকেন, কিন্তু টেলিভিশন রিভিউতে বারবারই দেখানো হচ্ছিলো বল ঠিকই ছিল। এসব নিয়ে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটাররা বেশ কিছুটা ক্ষেপেই যান। ঘটনা শেষে খেলা শুরু হয়েই পর পর দুই বলে ফেরেন সৌম্য ও সাকিব। এই আসা যাওয়ার মিছিলে সামিল হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। ৯ বলে ১১ রান করে পলের বলে ব্রাথ ওয়েটের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। তিনি ফেরার এক ওভার পর ফেরেন লিটন। অবশ্য এই ওপেনারের ব্যাট থেকেই আসে দলীয় সর্বোচ্চ ৪৩ রান। ক্যারিবীয় ঝড়ের পর আস্তে আস্তে ম্যাচে ফিরতে শুরু করে বাংলাদেশ। এতে ভূমিকা রাখেন মাহমুদউল্লাহ, সাকিব ও মোস্তাফিজ। তবে এভিন লুইসের প্রথম দিকের টর্নেডোতে ১৯.১ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৯০ রানের বড় সংগ্রহই পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শনিবার (২২ ডিসেম্বর) মিরপুর শের ই বাংলায় ম্যাচটি শুরু হয় বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায়। তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষটিতে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ১৯ বলে দলীয় ফিফটি তুলে নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার এভিন লুইস ও শাই হোপ। পরে মাত্র ১৮ বলে হাফসেঞ্চুরির দেখা পান লুইস। এটি তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি। কিন্তু নিজের প্রথম ওভারেই হোপের উইকেট তুলে নিয়ে ঝড়ের বেগ কিছুটা কমিয়ে দেন সাকিব আল হাসান। ১২ বলে ২৩ করা হোপকে বোল্ড করেন সাকিব। কেমো পল এসে মোস্তাফিজের বল তুলে মারতে গেলে ব্যক্তিগত ২ রানে আরিফুল ইসলামের ক্যাচে মাঠ ছাড়েন। তবে দশম ওভারে দুর্দান্ত বল করে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান।