সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের ওপর অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগে চীনের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা বিলের অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ (হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস)। বুধবার ‘উইঘুর হিউম্যান রাইটস অ্যাক্ট’ বিলটি পাস হয়। এতে ৪১৩ জন পক্ষে এবং একজন বিপক্ষে ভোট দেয়। বিলটি এবার হোয়াইট হাউসে পাঠানো হচ্ছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুমোদনের জন্য।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের মুসলিমদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতনে সঙ্গে দায়ীদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বলা হয়েছে ওই বিলে। মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি এ ব্যাপারে বলেছেন, উইঘুর সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর চীন যে বর্বর আচরণ করছে তা বিশ্ব-বিবেকের চূড়ান্ত অবমাননা।
ওয়াশিংটনের দাবি, জিনজিয়াং প্রদেশে চীনা প্রশাসন ১০ লাখেরও বেশি সংখ্যালঘু মুসলিমকে ক্যাম্পে বন্দি করে রেখেছে। সেখানে তাদের অমানবিক জীবনযাপনে বাধ্য করা হচ্ছে। তাদের ধর্ম ত্যাগ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। আর এই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে ওই অঞ্চলের কমিউনিস্ট পার্টির সেক্রেটারি ও চীনের পলিটিক্যাল ব্যুরোর ক্ষমতাশালী সদস্য চেন কুয়ানগুয়োকে দায়ী করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটেও সর্বসম্মতভাবে উইঘুর মুসলিম সংক্রান্ত বিল পাস হয়েছে। ফলে চীনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ সংক্রান্ত বিলে অনুমোদনের বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর বেশ চাপ সৃষ্টি হয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আগের বাণিজ্য ইস্যুর মধ্যে করোনাভাইরাস নিয়ে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের টানাপোড়েন চলছে। এ ছাড়া হংকং ইস্যুতেও চীনের সমালোচনা করছে ওয়াশিংটন। এখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এতে অনুমোদন দিলেই প্রস্তাব কার্যকর হবে। এর ফলে সম্ভবত চীনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধ চরম সীমায় চলে যেতে পারে। সূত্র: ব্লুমবার্গ।